মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রূপকথার গল্পকেও হার মানায় সত্যিকারের রাজকন্যা সারাহ কালবার্সনের গল্প। সেই ছোটোবেলায় হারিয়ে যাওয়া পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের এই রাজকন্যার তার পরিবারকে ফিরে পাওয়ার গল্পই রূপালি পর্দায় আনতে যাচ্ছে ডিজনি।
১৯৭৬ সালে মাত্র কয়েক মাস বয়সে সারাহকে দত্তক নিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার মর্গানটাউনের এক শ্বেতাঙ্গ পরিবার। সারাহর জন্মদাতা বাবা কৃষ্ণাঙ্গ জোসেফ কোনিয়া কোপোসোয়া সিয়েরা লিয়নের বাম্পি গ্রামের মান্দি আবিবাসীদের গোত্র প্রধান। সেই হিসেবে পুরো সিয়েরা লিওন জুড়েই রাজকন্যার মর্যাদা পাচ্ছেন সারাহ। সারাহর জন্মদাত্রী মা একজন শ্বেতাঙ্গ।
২০০৪ সালে স্নাতক শেষ করার পর নিজের শেকড়ের খোঁজ করতে গোয়েন্দা নিয়োগ দেন সারাহ। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসরত সারাহর জন্মদাতা বাবার এক ভাইয়ের সন্ধান পান ওই গোয়েন্দা। তার মাধ্যমেই সিয়েরা লিওনে বসবাসরত নিজের পরিবারের খোঁজ পান সারাহ। সে বছরই সিয়েরা লিওনে পরিবারের সাথে দেখা করতে যান সারাহ। সেখানে তাকে সত্যিকারের রাজকুমারীর মতো অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
তবে প্রত্যাখ্যানের ভয়ে নিজের জন্মদাতা বাবাকে খোঁজার সাহস সঞ্চয় করতেই অনেক দিন লেগে গিয়েছিল সারাহর। তবে জন্মসূত্রে পাওয়া পরিবার, আর তাকে বড় করে তোলা পরিবার-দুই পরিবারকে একসঙ্গে পেয়ে ভীষণ খুশি সারাহ।
২০০৯ সালে সারাহর এই ঘটনা নিয়ে ‘এ প্রিন্সেস ফাউন্ড’ নামে একটি বইও প্রকাশিত হয়। সেই বইটির এতো বছর পর জিডনির হর্তাকর্তাদের নজরে পড়েছে। এনিয়ে ডিজনি ছবি তৈরি করতে যাচ্ছেন বলে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন। আগামী বছর ছবির শুটিং শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সূত্র : এনবিসি নিউজ, ফক্স নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।