পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির লিখিতি নির্দেশনার ভিত্তিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার ওই ওষুধ ব্যবসায়ীর একাউন্ট ফ্রিজ করে দেন। হাইকোর্ট বলেছেন, দুদক এভাবে কারও ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করতে পারে না। এ ধরণের জব্দের আদেশ অবৈধ।
ওষুধ ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের রিট পিটিশনের শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ উপরোক্ত আদেশ দেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট রাকিবুল হাসান। দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট শাহীন আহমেদ। সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রাকিব হাসান জানান, কক্সবাজারের বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া নির্দেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। তিনি আরও জানান, গত ৬ জানুয়ারি দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপককে কক্সবাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন নামের এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন।
ওই নির্দেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রিট করেন বেলায়েত। শুনানি গ্রহণ শেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। রুলে বেলায়েতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে দুদকের ওই উপ-সহকারী পরিচালকের দেয়া ৬ জানুয়ারির নির্দেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। গতকাল সেই রুল চূড়ান্ত ঘোষণা করেন আদালত।
এদিকে হাইকোর্ট তার একাধিক রিটের শুনানি শেষে দুদক বিচারিক আদালতের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কারও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান, পাসপোর্ট জব্দ, ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করতে পারবে না-মর্মে আদেশ দেন। তা সত্ত্বেও দুদকের আইনজীবী কখনও বা দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।
এ প্রক্রিয়ায় গত ২২ জুন জাতীয় সংসদের হুইপসহ তিন ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বলতে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আদালতের পূর্বানুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে দুদক। একই সঙ্গে জব্দ করতে পারবে পাসপোর্টও। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং পাসপোর্ট জব্দের পর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং জব্দের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতকে অবহিত করতে হবে।
তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করেই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। সেখানে আদালতের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রদান ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশনা ছিলো। তবে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় দুদকের পক্ষ থেকে।
আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পূর্বানুমোদন গ্রহণ নয় বরং নিষেধাজ্ঞা প্রদান-পরবর্তী সময়ে আদালত থেকে অনুমোদন করিয়ে নেয়ার আদেশ দেন। এ আদেশ বলবৎ অবস্থায় গতকাল পৃথক একটি রিটের আদেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদানকে ‘দুদকের এখতিয়ার বহির্ভুত’ ঘোষণা করলেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং দুদকের নিষেধাজ্ঞা প্রদানের এখতিয়ার দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক আইনজীবী। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত না পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশই বহাল।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ, দেশত্যাগে নিষেধজ্ঞা প্রদান এমনকি পাসপোর্ট জব্দের আগে দুদককে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমোদন নিতে হবে। এটি হাইকোর্টেরই নির্দেশনা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই নির্দেশনা স্থগিত না হচ্ছে ততোক্ষণ প্রতিষ্ঠানটিকে হাইকোর্টের পূর্বতন নির্দেশনা বলবৎ ধরেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক এডভোকেট বেলায়েত হোসেন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশকে শ্রদ্ধা করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিকের কর্তব্য। দুদক কেন বার বার এটি লঙ্ঘন করছে- আমারও তা বোধগম্য নয়। সংস্থাটির আইনজীবীরাই বা কেন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াবেন?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।