পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। ব্যাংক, বীমা, লিজিং ও ওষুধ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির পাশাপাশি দরপতন হয়েছে প্রায় সবকটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। তবে কিছুটা হলেও ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে বস্ত্রখাতে। এ খাতের অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার থেকে সীমিত লকডাউন এবং বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন-সরকারের পক্ষে থেকে এমন সিদ্ধান্ত আসায় এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এতে লেনদেন শুরু হতেই বড় দরপতনের প্রবণতা দেখা যায় শেয়ারবাজারে। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই দরপতন অব্যাহত থাকে শেষ পর্যন্ত। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে নেমে গেছে।
গতকাল অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের এই বড় দরপতনের দিনে তালিকাভুক্ত ৫০টি বীমার মধ্যে মাত্র পাঁচটির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে ৪৪টির দাম কমেছে। বাকি একটির শেয়ার লেনদন হয়নি। অপরদিকে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র তিনটির। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪টির। আর চারটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৬টিরই দাম কমেছে। বাকি একটির লেনদেন হয়নি। ব্যাংক, বীমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এই দরপতনের মধ্যে কিছুটা হলেও ব্যাতিক্রম চিত্র দেখা গেছে বস্ত্রখাতে।
এ খাতের তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৩১টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩টির। আর চারটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে সব খাত মিলে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৫৪টি। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৬টির। আর ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৫৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ১৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১০৩ কোটি দুই লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালেক স্পিনিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৯৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪১টির এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।