Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নাটোরে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত মিটার রিডার ম্যাসেঞ্জারদের চাকরিচ্যুতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : সরকারী পে-স্কেল ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোট ১২ হাজার মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের মধ্যে ইতোমধ্যে তিন হাজার চাকরি হারিয়েছেন এবং আরো পাঁচ হাজার হারানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। চাকরিচ্যুতির আশংকায় শুক্রবার নাটোরে এক মহাসমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা ছাড়াও মহাসমাবেশে আশপাশের বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহস্রাধিক মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার নাটোর রাণী ভবানী রাজবাড়ি চত্বরে মানববন্ধন করে হাতে হাত ধরে এর প্রতিবাদ জানান।
তাদের বাঁচার এই দাবি পূরণে দ্রæতই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। পরে তারা রাজবাড়ির আনন্দ ভবনে এক মহাসমাবেশে অংশ নেন। মহাসমাবেশের শুরুতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অবহেলিত মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের কথা বিবেচনা করেই সরকারী সব সুবিধাসহ তাদের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেন। পরে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারী বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এক বছরের চুক্তি তিন বছর এবং পর পর তিন বারে মোট নয় বছর চাকরি করার পর কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশনা জারি করে। এরপরে নতুন পে-স্কেল ঘোষণা হলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে সকল সমিতিকে দপ্তরাদেশ দিয়ে বলা হয়, কোন চুক্তি নবায়ন করতে বোর্ড চেয়ারম্যানের অনুমোদন লাগবে। এই নির্দেশনার পর থেকে সকল সমিতির জেনারেল ম্যানেজারগণ আর তাদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি বা নতুন চুক্তি না করে তাদের দ্বিগুণ কাজের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন যাতে তারা চাকরি ছেড়ে চলে যান এবং পদ খালি হলে আর লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে নতুন লোক নিয়োগ নিতে পারেন।
তারা বলেন, আগে যেখানে একজন মিটার রিডারের মাসে এক হাজার সাতশ’ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার বৈদ্যুতিক মিটারের রিডিং নিতে হতো আর ম্যাসেঞ্জারদের ওইসব গ্রাহকের কাছে বিল পৌঁছে দিতে হতো। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। তারা আরো বলেন, আগে প্রতিটি এ্যানালগ মিটার দেখতে সময় লাগতো সর্বোচ্চ দুই মিনিট আর এখন বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা ডিজিটাল মিটার দেখে গ্রাহকের কাছে থাকা কার্ডে লিখে দিতে মোট সময় লাগে আট থেকে দশ মিনিট। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একদিকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন আহম্মেদ নিজে সকল মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের স্ত্রী ও পরিবারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে তাদের স্বামীদের সৎ জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করতে বলছেন আর অন্যদিকে তাদের চাকরির বয়স থাকার পরেও চুক্তি নবায়ন না করে পুরো পরিবারকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের এই সমাবেশের আহŸায়ক মোঃ লিয়াকত আলী সরকার, যুগ্ম আহŸায়ক মখলেসুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান এবং সাংগঠনি সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ বেলাল উদ্দিন বলেন, মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের প্রতি কোন অনিয়মও করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নতুন যে নিয়ম করেছে তার আলোকেই এখন সব করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাটোর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ