পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ‘নির্যাতন’ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এখান থেকে শুধু মানবাধিকার বা এনজিও ঘরানার কাজ দিয়ে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী কমিটির মহাসচিব নূর খান। জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতিত ব্যক্তিদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসে গতকাল ‘বাংলাদেশে নির্যাতনের পরিস্থিতি, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে প্রতিবন্ধকতাসমূহ’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, সাম্প্রতিক কালে পুরান ঢাকার একজন আইনজীবীকে উঠিয়ে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে খুলনায় ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এ নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একজন রাজনৈতিক কর্মী নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে ট্রাকচাপা দিয়ে মারা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
অথচ এসব হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। গুম হওয়ার পর দু’একজন গোপনীয়ভাবে মানবাধিকারকর্মীর কাছে যে বয়ানগুলো দিয়েছেন, তা কল্পনা করা যায় না, কী ধরনের নির্যাতনের শিকার তারা হয়েছেন।
দেশে একটা বিভীষিকাময় অবস্থা চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, তুলে নিয়ে নির্যাতন করবে, মারবে, ধরবে। আর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বলতে হবে, নিজে থেকে পালিয়েছিলাম। এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হলে শুধু স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নিলেও খুব বেশি এগোনো যাবে না। বাংলাদেশের নাগরিক রাজনৈতিক অধিকারের জায়গায় যে ধরনের ব্যত্যয় ঘটছে, এখান থেকে শুধু মানবাধিকার বা এনজিও প্যাটার্নের কাজ দিয়ে মুক্তি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন একটা অবস্থায় আমরা পৌঁছেছি যে স্বাভাবিক অঙ্কের হিসাবে আর চলবে না।
সভায় সংবিধানে নির্যাতনকে অবৈধ ঘোষণার তথ্য তুলে ধরে আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল। বক্তব্য রাখেন- আসকের সাবেক চেয়ারপারসন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাংবাদিক আবু সাঈদ আহমেদ, আসক সদস্য আইনজীবী আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।