পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সোমবার ২৮ জুন থেকে আবার সাতদিনের জন্য সারাদেশে সব কিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। বিশেষ লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউন, অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন ইত্যাদি লকডাউনের মধ্যে আবারও সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণায় অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন। ফেসবুকে আবার কেউ কেউ লিখেছেন, এবারও লকডাউন যেন তামাশায় পরিণত না হয়।
এরআগে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ১৪ দিনের সম্পূর্ণ শাট ডাউন দেয়ার সুপারিশ করেছিল। সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।
লকডাউনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মাসুম শেখ লিখেছেন, ‘‘আমরা যারা বেসরকারি চাকরি করি তারা আছি মহা সমস্যায় একদিকে সরকার লকডাউন দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে অন্য দিকে অফিসে না যেতে পারলে চাকরি চলে যায়। যদিও বার বার বলা হয় নিজস্ব পরিবহনে কর্মচারীদের আনা নেওয়া করতে হবে কিন্তু বাস্তবে প্রতিষ্ঠান সেটা করে না। আবার সরকারের পক্ষ থেকে তদারকি করার কোন কার্যক্রমও থাকে না। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ সকল দিক বিবেচনা করে যেন তারা লকডাউন ঘোষণা করে।’’
হুমায়ুন কবিরের প্রশ্ন, ‘‘তাহলে রমজানের শুরু থেকে এতোদিন কি ডাউন করা হয়েছিল? এসি রুমে বসে বসে জনগণের টাকায় আরাম করে খেয়ে জনগণের পেটেই লাথি মারার এই সকল সিদ্ধান্ত বন্ধ করুন। আর তাছাড়া যত দিনের লকডাউন দিতে চান আগে প্রতিটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে ঘরে তত দিনের খাবার ও চিকিৎসা খরচ পৌঁছে দিন তারপর লকডাউন দেয়ার কথা চিন্তা করবেন। ’’
বিরূপ মন্তব্য করে মোঃ মশিউর রহমান লিখেছেন, ‘‘দিনমজুরদের সাত দিনের তিন বেলার খাবার নিশ্চিত করে লক ডাউন দিন। নইলে তারা অনাহারে মরবে। হুট করে কোনো কিছু তো আর বললেই হবেনা। এসির মধ্যে থেকে কঠোর বাস্তবতা উপলব্ধি করতে চাইলে হবেনা। লকডাউন দিন সমস্যা নেই কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায় আশা করি তাদের খাবারের দিকটি বিশেষভাবে ভেবে দেখবেন।’’
মোরশেদ আনাম লিখেছেন, ‘‘করোনার ভাইরাসের যেমন বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট আছে আমাদের দেশেও লকডাউন এর বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট আছে। লকডাউন ,সীমিত আকারে লকডাউন, কঠোর লকডাউন , এখন শাটডাউন আগামীতে শাটডাউন প্রো, শাটডাউন রিটার্ন, শাটডাউন 2.0।’’
মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মন্তব্য, ‘‘তার মানে সোমবার থেকে করোনা হানা দিবে । একদিকে ইচ্ছে মত শাটডাউন দিচ্ছে জনগণ ১৫০% মানতেছে। অপরিকল্পিত কোন কিছুই বাস্তবায়ন হয় না। একবার আস্থা হারিয়ে ফেললে পরে বস্তা ভরে দিলেও আর ফিরে আসে না । আসলেই করোনা তার সবচেয়ে ভয়াবহ রুপটা নিয়ে এখন বাংলাদেশে হাজির হয়েছে । কিন্তু দুঃখের বিষয় লকডাউন নামক থেরাপি এই দেশে আর কাজ করবে না।’’
ইকরা রেকসনা লিখেছেন, ‘‘লকডাউন লকডাউন না করে যদি টিকা টিকা করে দৌড়াদৌড়ি করা হতো হয়তো কয়েক কোটি মানুষের টিকা শেষ হতো। চিকিৎসা ব্যবস্তার আরো উন্নতি করা হতো তবে হয়তো মৃত্যু কমতো।মানুষ নিজে সচেতন না হলে এ লকডাউন শাটডাউন কাজ কম করবে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।