রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বোদা (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা
পঞ্চগড়ের বোদায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত জাতের সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা কৃষি অফিসে প্রায় তিন শতাধিক কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু আউয়াল, পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আল মামুন-অর-রশিদ, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি প্রতি কৃষকদের মাঝে ১ কেজি সরিষার বীজ ও ২০ কেজি ডি,এ,পি ও ১০ কেজি এমওপি সার তুলে দেন। এ সময় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবদিকসহ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
রবিউল কবির মনু, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধ) থেকে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে অধুনালপ্ত ব্লক সুপারভাইজার (বিএস) বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অফিস কাম বাসভবন বিএস কোয়াটারগুলো বিগত প্রায় দুই দশকে কোন প্রকার সংস্কার না করায় বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হওয়ায় পরিত্যক্ত হয়ে আছে। ফলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিকল্প আবাসন ব্যবস্থা করে নিলেও অফিসিয়াল কাজকর্ম সারতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্লকের কোন চায়ের দোকান অথবা কোন রাসায়নিক সার, কীটনাশকের দোকানে বসে। এতে করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার যেমন মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে, তেমনি কৃষকরাও হয়রানির স্বীকার হচ্ছে নির্দিষ্ট অফিস না থাকায়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্থান আমলে তৎকালীন সরকারের কৃষি বিভাগ প্রান্তিক চাষিদের আধুনিক সেবা দেয়ার লক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্লান প্রোটেকশন ও বীজ সংগ্রহণাগার (পিপি গোডাউন) নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। এর আওতায় গোবিন্দগঞ্জে ১৪টি পিপি গোডাউন ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি ব্লক সৃষ্টি করে ২ জন করে ব্লক সুপারভাইজার (বিএস) নিয়োগ দেয়া হয়। আর পিপি গোডাউনসমূহ সংস্কার করে ব্লক সুপারভাইজার (বিএস)দের অফিস কাম বাসভবন হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর থেকেই এগুলো বিএস কোয়াটর হিসেবে পরিচিতি পায়। এ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন মিলে ৫২টি কৃষি ব্লকে ৫২ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ থাকলেও বর্তমানে ৪৪ জন কর্মরত আছেন। এরমধ্যে বিএস কোয়াটার রয়েছে পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নে। কাটাবাড়ী, রাজাহার, ফুলবাড়ী, রাখালবুরুজ ও নাকাই ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোন স্থাপনা নেই। অপর দিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রেকর্ডে নাকাই ইউনিয়নে ৩৩ শতাংশ জমিসহ বিএস কোয়াটার থাকলেও ওই ইউনিয়নে কোন বিএস কোয়াটার নির্মিত হয়নি বলে এ ইউনিয়নে কর্মরত এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান। গাইবান্ধা জেলার শস্য ভা-ার খ্যাত এ উপজেলায় ১২ মাসেই কোন না কোন ফসলের চাষ হয়ে থাকে। তাই মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের অফিস, আবাসন ও জনবল সংকটের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের অধিকতর সেবা দিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অফিস, আবাসন ও জনবল সংকটের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। নাকাই ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জগদিশ চন্দ্র সরকার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনে তাদের বসার জন্য একটি রুম দেয়া হলেও সেখানে কোন আসবাবপত্র নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার ছাহেরা বানু জানান, ব্যবহারের অনুপযোগী হলেও কোয়াটারগুলো কৃষি বিভাগের দখলে আছে। অফিস, আবাসন ও জনবল সংকট থাকলেও আমাদের মাঠ কর্মকর্তারা প্রান্তিক চাষিদের সাথে নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, বিএস কোয়াটারগুলো আধুনিক নকশায় পুনঃনির্মাণ করা হলে অফিস ও আবাসন সংকট নিরসন সম্ভব হবে। কারণ বিদ্যমান কোয়াটার গলিতে দুটি ইউনিট আছে কিন্তু প্রতিটি ইউনিয়নে বর্তমানে ৩টি করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।