Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাম্পার ফলনে চন্দনাইশের আখ চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এম এ মোহসীন, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এবারের আখ চাষে বাম্পর ফলন হয়েছে। আখ চাষিদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। তবে শ্রমের মূল্য ও সারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে চাষিরা আরো অধিক চাষাবাদে ব্যর্থ হন বলে জানান। আখ কিশোর থেকে শুরু করে সকলের জন্য খুব প্রিয় একটি মৌসুমি পানীয় খাদ্য। সুস্বাদু রসে ভরা এ আখ খেতে সকলের অধিক আগ্রহ জাগে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়ীয়াস্থ মোহাম্মদ আলী, দক্ষিণ জোয়ারা, বৈলতলী, সঙ্খনদীর দুই কূলে, জামিজুরী ইউনিয়নের রায়জোয়ারা, ছৈয়দাবাদ, হাসিমপুর, কাঞ্চনাবাদের লট এলাবাদ, ধোপাছড়ি ইউনিয়নের সবকটি গ্রামগঞ্জে এইসব আখ চাষে ফলন হয় বেশি। এখানকার উৎপাদিত আখ চন্দনাইশ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন দোহাজারীর শঙ্খনদী হয়ে বৈলতলী সঙ্খনদীর ঘাটঘর এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল হতে আখ চাষিদের উৎপাদিত আখ ট্রাকে ট্রাকে বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় বেপারীরা কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করে রপ্তানি করে তাদের পরিবারের জীবন নির্বাহ করে আসছে। সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ হাছান, মোস্তাক আহমদ, আবু সৈয়দ, রফিক, মৌলানা শরফাত আলী জানান তারা প্রতিবছর বাংলা আশ্বিন মাসের শুরু থেকে আখ চাষের বীজ রোপণ করা হয় এবং ২-৩ মাস পর তার ক্রমান্বয়ে বর্ধিত হয়। বাংলা ভাদ্র মাস পর্যন্ত আখ বিক্রি চলে, বছরের প্রায় ৬-৭ মাস বিক্রি করা হয়। সাতবাড়ীয়া হাজীর পাড়া আবদুল মোনাফ জানান, এবারের তার আখ ব্যবসায় আয় হচ্ছে ভালো। চাষিদেরকে সরকারিভাবে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করলে বাম্পার ফলন করতে পারবে। তারা প্রতি কানি জমিতে মজুরি খরচ, সার খরচ অন্যান্য সহ সব মিলিয়ে প্রতি কানি জমিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি কানি জমিতে এক কানি ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। ফলনকৃত আখ চাষ জমি থেকে বেপারীরা চাষিদের কাছ থেকে ক্রয় করে প্রতিদিন উপজেলার হাটবাজারসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাশে বিক্রি হয়। তীব্র তাপদাহে পানির তৃষ্ণা মিটাতে আখের রস পান করে থাকে। আখের রস মানুষের দেহে উপকারীমূলক একটি উৎস বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের জন্ডিস রোগের আক্রান্ত রোগীর জন্য এ আখের রস বেশি চাহিদা রয়েছে। মাটি ভেদে উৎপাদিত আখের রস মিষ্টির মাত্রা কমবেশি হয় বলে আখ চাষি মীর আহমদ আলতাপ মিয়া অভিমত ব্যাখ্যা করেন। আখের রস বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় মেশিনের সাহায্যে চাপিয়ে রস প্রতি গ্লাস হিসাবে ১০, ১৫, ২০, ২৫ টাকায় বিক্রি করে। বিশেষ করে চন্দনাইশ থেকে চট্টগ্রাম শহরে রপ্তানি করে থাকে। এসব আখের রস চট্টগ্রাম শহরের প্রতিটি জনবহুল এলাকায় বিক্রি চলে। আখের রস প্রিয়াসু শিক্ষার্থী, হানিফ, রাকিব, শামীমা, আখের রস তাদের খুব প্রিয় সুস্বাদু পানীয়। যেসব হাটবাজারে বেশি আখ বিক্রি হয় দোহাজারী হাজারী হাট, হাশিম পুর বাগিচা হাট, খাঁন হাট ও রৌশন হাটসহ গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন পল্লী এলাকায় আখ বিক্রি হয়। আখ বিক্রি করে বছরের অর্ধেক সময় বেকার মানুষের পরিবার-পরিজনের জীবিকা নির্বাহ করে। চাষিরা জানান, তারা সরকারিভাবে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের আখ চাষের বাম্পার ফলনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তারা সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার জন্য সরকারের আশুর ব্যবস্থা কামনা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাম্পার ফলনে চন্দনাইশের আখ চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ