Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলএনজি আমদানিতে বিদেশি চার কোম্পানি

ক্রয় কমিটিতে ১৬ প্রস্তাব অনুমোদন চ্যালেঞ্জকে সুযোগ হিসেবে চিন্তা করি : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২১, ১২:০৫ এএম

দেশে যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখন অর্থনীতি নিয়ে আশার বাণী শোনালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ইতিহাস থেকে দেখেছি, যখন চ্যালেঞ্জ আসে, তখন অনেক সুযোগও আসে। করোনা মহামারির মধ্যে কীভাবে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরুতে রাজস্ব আয় কম থাকলেও গত ১১ মাসে তা ১৭ শতাংশ বেড়েছে। আর রফতানি এই সময়ে ১৪ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ প্রায় ৪৬ বিলিয়ন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনগুলোতে ভালো করব আশা করি। গতকাল বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য চার দেশের চারটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বাজেট ঘাটতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জাতিসংঘ সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, করোনার প্রভাব কাটাতে সংকোচন নয়, সম্প্রসারণমূলক নীতি নিতে হবে। তার আগেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্প্রসারণমূলক মুদ্রা ও আর্থিক নীতি নিতে হবে। আমাদের আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ছয় দশমিক দুই শতাংশ, যা আমেরিকার ১৮ শতাংশ, ভারতের ১৩ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, জাপানের ১২ দশমিক নয় শতাংশ, চীনের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও ভিয়েতনামের ছয় দশমিক দুই শতাংশ। এখন সব দেশই ঘাটতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কালো টাকা সাদা করার বর্তমান সুযোগ আগামী অর্থবছরে অব্যাহত থাকবে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৯ জুন অর্থবিল পাস হওয়ার সময় এ বিষয়ে জানা যাবে। টিকা না দিলে ভারত টাকা ফেরত দেবে বলে কিছুদিন আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সত্যিই টাকা ফেরত দেবে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানে। তারা এটা দেখভাল করছে।

বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) প্রণোদনার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বাড়তি সময় চাচ্ছে। সময় কি দেয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো আবেদন আসেনি। এলে দেখব, কী করা যায়।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন প্রকাশ না করা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় গেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলা চলমান। এ পর্যায়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

৫ থেকে ১০ টাকার সার্জিক্যাল মাস্ক ৩৫৬ টাকায় কেনা হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটির কাছে ধরা পড়েছে। এগুলো সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে কেনা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এগুলো তদারক করা হবে। এ নিয়ে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। নিজেরাই কেনাকাটা করতে পারেন।

এদিকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য চার দেশের চারটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা। কোম্পানি চারটি হলো- জাপানের আটিওসিএইচইউ করপোরেশন, সিঙ্গাপুরের গুনভর সিঙ্গাপুর পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, দুবাইয়ের শেল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেপিং মিডল ইস্ট লিমিটেড এবং যুক্তরাজ্যের টোটাল গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড। এসব কোম্পানির সঙ্গে মাস্টার স্কেল অ্যান্ড পারচেজ চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভা শেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব।

সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ১৬টি প্রস্তাবের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ১০টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দুটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাবের মোট ব্যয়ের পরিমাণ এক হাজার ৩৯ কোটি টাকা। একই দিনে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৮তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২২তম সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পেঁয়াজ, রসুন, মশুর ডাল, ছোলা, মসলা-শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, চিনি, লবণ (খাবার লবণ বিট লবণ ব্যতিত) ইত্যাদি আমদানি/স্থানীয়ভাবে কেনার ক্ষেত্রে সময়সীমা ২০২৩ সালের ২৬ মে পর্যন্ত দুই বছর বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প’ বাস্তবায়নে জয়েন ভেনচার হিসেবে ১৬৯ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৯ টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট (পিএমসি) হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মাধ্যমে থ্রি সিক্সটি টেকনোলজি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডেলহাজ লিমিটেড এবং প্রিন্সিপাল প্যানমার্ক ইমপেক্স লিমিটেডের কাছ থেকে জিএসএম ইউএমটিএস ভেইকুলার অ্যাকটিভ সাপোর্ট সিস্টেম ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেল লাইন সংস্কার ও নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১ এর পূর্ত কাজ ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় এক কোটি ৭১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৮ টাকা কমিয়ে সংশোধিত ২৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ১০১ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদফতর ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করবে। ভারতের বাগডিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের নিকট থেকে চাল আমদানির জন্য ১৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডব্লিউপি-০১ এর পূর্ত কাজ ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৭ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর- ডব্লিউপি-২ এর পূর্ত কাজ ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় নয় কোটি ৫১ লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ টাকা কমিয়ে সংশোধিত ১২৭ কোটি ৭৫ লাখ এক হাজার ৪৯৪ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর- এসপি-আইপি-ডব্লিউ-৩ এর আওতায় নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন টার্ন-কি পদ্ধতিতে ৩৫৫ সেট সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন কাজ যৌথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বেঙ্গল সোলার, পাওয়ার ইউটিলিটি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং জার্মানির আরএএসিএইচ কোম্পানির নিকট থেকে ৪০ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৯১ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং- এসপিপি ডব্লিউ -০৪ এর আওতায় দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীন টার্ন-কী পদ্ধতিতে ৩৪৫ সেট সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন কাজ যৌথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বেঙ্গল সোলার, পাওয়ার ইউটিলিটি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং জার্মানির আরএএসিএইচ কোম্পানির নিকট থেকে ৪০ কোটি ৫৯ লাখ চার হাজার ১৪৩ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর- এসপিআইপি ডাব্লিউ-৫ এর আওতায় ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীন ৩৪৫ সেট সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন কাজ যৌথভাব বাস্তবায়নের জন্য বেঙ্গল সোলার, পাওয়ার ইউটিলিটি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং জার্মানির আরএএসিএইচ কোম্পানির নিকট থেকে ৪০ কোটি ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৯৫ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-৬ এর আওতায় গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা-২ এবং ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীন টার্ন-কি পদ্ধতিতে ২৫০ সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন কাজ যৌথভাব বাস্তবায়নের জন্য বেঙ্গল সোলার, পাওয়ার ইউটিলিটি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং জার্মানির আরএএসিএইচ কোম্পানির নিকট থেকে ৩৪ কোটি ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৫ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমের ক্ষমতাবর্ধন’ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্পের লট নম্বর ০০১ এর ২৮টি উপকেন্দ্রের পাঁচ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাউন্ডারি দেওয়াল, তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বারবেড ওয়্যার ফেন্সিং ও মেইন গেট নির্মাণ এবং দুটি উপকেন্দ্র ও একটি বে-সম্প্রসারণ নির্মাণ কাজ ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৫ কোটি ৮৭ লাখ সাত হাজার ২৫ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ‘পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমের ক্ষমতাবর্ধন’ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটচ্চতা বিশিষ্ট বারবেড ওয়্যার ফেন্সিং ও মেইন গেট নির্মাণ এবং অতিরিক্ত একটি উপকেন্দ্র নির্মাণ কাজ বাবদ বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্পের লট নম্বর ০২ এর ১৮টি উপকেন্দ্রের পাঁচ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাউন্ডারি ওয়াল, তিনফুট উ অতিরিক্ত নয় কোটি ২৮ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৪ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ‘পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমের ক্ষমতাবর্ধন’ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্পের লট ২৭টি উপকেন্দ্রের পাঁচ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাউন্ডারি ওয়াল, তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বারবেড ওয়্যার ফেন্সিং ও মেইন গেট নির্মাণ এবং অতিরিক্ত দুটি উপকেন্দ্র নির্মাণ কাজ ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৬ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

‘পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমের ক্ষমতাবর্ধন’ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্পের লট নম্বর-৪ এর ১৮টি উপকেন্দ্রের পাঁচ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বাউন্ডারি ওয়াল, তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বারবেড ওয়্যার ফেন্সিং ও মেইন গেট নির্মাণ এবং অতিরিক্ত একটি উপকেন্দ্র ও বে-সম্প্রসারণ নির্মাণ কাজ ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩৩ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমের ক্ষমতাবর্ধন’ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্পের লট নম্বর- ৫ এর ১৯টি উপকেন্দ্রের মেইন গেট নির্মাণ এবং অতিরিক্ত একটি উপকেন্দ্র নির্মাণ কাজ ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ছয় কোটি ৭২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪৯ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমের ক্ষমতাবর্ধন’ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্পের একটি সুইচিং স্টেশন ও ৪৬টি বে-সম্প্রসারণ নির্মাণ ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৮৬ লাখ ১৬ হাজার ২০৬ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সভায়।#



 

Show all comments
  • মোঃ নাজমুল ইসলাম ২৪ জুন, ২০২১, ৫:৫১ এএম says : 0
    চারিদিকে হতাশার মধ্যে এমন আশার বাণি শোনানোর জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • রক্তিম সূর্য ২৪ জুন, ২০২১, ৫:৫১ এএম says : 0
    আপনার হাত ধরে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাক।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ২৪ জুন, ২০২১, ৫:৫২ এএম says : 0
    দেশের আর্থিক উন্নয়নের সাথে মানবিক উন্নয়নও জরুরি...আশা করি বিষয়টা মাথায় রাখবে।
    Total Reply(0) Reply
  • জোবায়ের খাঁন ২৪ জুন, ২০২১, ৫:৫৩ এএম says : 0
    এলএনজি আমদানির ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুজ্জামান ২৪ জুন, ২০২১, ৯:৪৭ এএম says : 0
    অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাহেবের সঠিক দিক নির্দেশনায় দেশের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রী

১১ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ