বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে দেওয়া এডহক নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীসহ অন্যান্যরা ভিসির বাসভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান শুরু করেছে । মঙ্গলবার( ২২ জুন) রাত ১০টা থেকে তারা এই নতুন কর্মসূচি শুরু করে।
বুধবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অবস্থান নেয়া নিয়োগপ্রাপ্তরা সেখানেই ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চাকরিতে পদায়ন ও সিন্ডিকেট সভা বন্ধে ভিসির বাসভবনের প্রবেশপথে অবস্থান নেয় তারা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিসির বাসভবনের প্রবেশপথে বসে ও শুয়ে পড়ে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. লিয়াকত আলী ও ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক মো. তারেক নূর ছাত্রলীগ নেতাদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেন নি।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও চাকরিতে পদায়ন না করা পর্যন্ত ভিসির বাসভবনের সামনে তারা লাগাতার অবস্থানে থাকবেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনোভাবেই কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
এদিকে চাকরিতে পদায়ন না করা পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভা বন্ধে নিজেদের অবস্থানে অনঢ় থাকার ঘোষণা দেয় এডহকে নিয়োগপ্রাপ্তরা। পরে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা তার বাসভবনের সামনে রাত সাড়ে ৮টায় সিন্ডিকেট সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপরও তারা সেখানেই অবস্থান করেন এবং রাত ১০টায় লাগাতার অবস্থানের নতুন কর্মসূচি শুরু করেন।
সেখানে অবস্থানকারী ছাত্রলীগ নেতা মাহাফুজ আল আমিন বলেন, "আমাদের একটাই দাবি আমাদের পদায়ন হোক। পরে যা হওয়ার হবে কিন্তু এখন আমাদের নিয়োগপ্রাপ্ত পদগুলোতে আমাদের যোগদান করতে দেয়া হোক। গত পরশু মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ক্যাম্পাসে এসেছিলেন এবং প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছেন। তারপরও আমাদের নিয়োগের বিষয়টি সমাধান না করেই সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে। আমরা এজন্যই আন্দোলনে বসেছি। যোগদানের বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ০৫ মে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ১৩৭ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে যান। কিন্তু সে নিয়োগকে ওই দিনই ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর ৮ মে রুটিন উপাচার্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এডহক নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়ন স্থগিত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।