বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আবারও মাদক বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেল কুমিল্লা জেলা পুলিশ। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে সাড়ে ৫ মাসে তিন হাজার কেজি (তিন টন) গাঁজা, লক্ষাধিক পিস ইয়াবাসহ প্রায় পৌনে ৯ কোটি অন্যান্য মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি দেড় হাজারের বেশি আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মাদক বিরোধী অভিযান, মাদক দ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, জেলায় মাদক প্রবণতা কমিয়ে আনা ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান বেগবানের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এসব তথ্য তুলে ধরেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৬ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ হাজার ৫২৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৯৬ লিটার দেশি মদ এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের মধ্যে হুইস্কি, বিয়ার, বিদেশি মদ, ইস্কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার ১শ’ টাকা। সাড়ে ৫ মাসের এই অভিযানে ১৬১২ জন মাদকের আসামি গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি আমরা কয়েকটি কর্মকৌশলকে সামনে রেখে কাজ করছি। এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা, মাদক বিরোধী আন্দোলন ও প্রচার, ইউনিয়নভিত্তিক মাদকমুক্ত কার্যক্রম, মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পন ও পুনর্বাসন, মাদকসেবিদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা, মাদক সেবন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, গণমাধ্যমের সহযোগিতা এবং মাদকমুক্ত ঘোষণার পরবর্তী ফলোআপ নির্ণয়।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘একটি গ্রাম থেকে একটি দেশ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে মাদকের মূলোৎপাটন করার লক্ষ্যে মাদকের উৎস, মাদকের রুট ও মাদকপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিতকরণ, মাদক ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত, মাদক স্পটগুলো চিহ্নিতকরণ এবং মাদকবিরোধী সংগঠনগুলোর ডাটাবেজ তৈরি করেছি। এধরণের কর্মপরিকল্পনা চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে আরও গতিশীল ও মাদকমুক্ত কুমিল্লা গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুর রহীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজাল হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) জুয়েল রানাসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।