Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীর গ্রামের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ -রামেক পরিচালক

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ৫:৩৪ পিএম

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি বলেন, নতুন ভর্তি রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ উয়ে উঠেছে।

সোমবার রামেক হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা ও সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং-এ হাসপাতাল পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থামানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। তাই এখন রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ভাংছে। তবে এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি জানিয়ে, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই এই মহারারি মোকাবেলা সম্ভব বলে জানান।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। যাদের ৬ জনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আর গত ২৪ ঘন্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ৩০৯ বেডের বিপরীতে মোট ভর্তি রোগী আছেন ৪০২ জন। হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৬২ রোগীর মধ্যে গ্রাম থেকে আসা ৩৬ জন আর শহরের ২৬ জন।
এছাড়া সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩০৯ বেডের বিপরীতে ভর্তি রোগী আছেন ৪০২ জন। এরমধ্যে রাজশাহীতে ২৬৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭০ জন, নাটোরের ৩০ জন, নওগাঁর ২৯ জন, পাবনার ৫ জন, কুষ্টিয়ার ২ জন এবং চুয়াডাঙ্গার ২ জন রয়েছেন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন।
এদিকে, ধীরে ধীরে গ্রামে সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় প্রশাসন, আইশৃঙ্খলাবাহিনী, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবকসহ দায়িত্বরত সকলকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। #

 



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২১ জুন, ২০২১, ৬:৩২ পিএম says : 0
    বিদেশ থেকে যতে যাত্রী ঢাকা চিটাগাং সিলেট বিমান বন্দর যাইতেছে,কারে কোয়ারেনটি নেই।যাত্রী সিদা বিমান থেকে নেমেই গ্রামের বাড়ি যাইতেছে,কোথায় হোটেল কোথায় কোয়ারেনটি কিছু নেই সব মিথ্যা,সরকার হোটেলের মালিক এর সাথে যোগ সাজেসানে বুকিং দেখাইয়া কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করতেছে,বিশ্বাস না হলে বাংলাদেশের জনগণের যাচাই করে দেখতে অনুরোধ করা হইল,বিমানের সাথে হোটেল বুকিং ঠিকই আছে। বিমান বন্দরে যাওয়ার পর হোটেল নাই সব মিথ্যা ,যাত্রী সব গ্রামে চলে যায়,মিথ্যা বুকিং মিথ্যা হোটেল মিথ্যা কোয়ারেনটি মিথ্যা টেস্ট,এই জন্যই গ্রামের অবস্থা করনা ভয়াবহ এই জন্য সরকার দায়ী,সরকার বিমানের টিকিট এর সাথে হোটেল বুকিং দেখাইয়া কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করিতেছে।মিথ্যা হলে 25/6/2021ইং থেকে যে সমস্ত বিমান এর যাত্রী দেশে গিয়েছে,তাহারা হোটেলে আছে কি না দেখেন।এই গুলি কি আমরা কি দেশে বসবাস করতেছি,এই ভাবে কি জনগণ কে মেরে ফেলবে না কি। কয়েক হাজার যাত্রী দেশে গিয়েছে দেখেন হোটেলে কেউ নাই।অথচ বিমানে হোটেল বুকিং দিয়ে দেশে গিয়েছে,এইটা সরকারের পলিটিক্স অন্যথায় কোথায় হোটেল কোথায় যাত্রী কোথায় কোয়ারেনটি,সব মিথ্যা,জরুরি দেশের বিশিষ্টজনদের এই বেপারে তদন্ত করার অনুরোধ রইল।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ