Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় করোনা ঝড়ে তছনছ নারী সাংবাদিকের পরিবার

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ৩:৪৮ পিএম

বগুড়ায় করোনা ঝড়ে তছনছ হয়েছে নারী সাংবাদিক নাসিমা সুলতানা ছুটুর পরিবার। মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে তার পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে , এখনো হাসপাতালে ৫ জন এবং বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ৬জন । অর্থাৎ মোট ১১জন এখনও করোনা পজিটিভ।

স্থানীয় দৈনিক করতোয়ার সাংবাদিক নাসিমা সুলতানার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের সুত্র ধরে জানা যায়,জুন মাসের ৪ তারিখে তার মেজোভাই মীর নজমুল ইসলাম বেলাল ও ভাবি নাহিদ সুলতানার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। পরিবারটি একান্নবর্তি হওয়ায় বাকি সদস্যদেরও করোনা টেস্ট করলে একসাথে ছোটবড় ১৪ জনের করোনা ধরা পড়ে।
শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছুটুর মেজোভাই বেলাল মারা যান ৭ জুন। এই মৃত্যু শোকের রেশ না কাটতেই ৯ জুন মারা যান আরেক বোন মীর সেলিনা সুলতানা শিরিন। এরপর ১৮ জুন মারা যান বড় ভাই মীর নজরুল ইসলাম নজরুল। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ছুটুর সেজো ভাই ¤্রমিক নেতা মীর বাহলুল মারা যান হ্যদরোগে। অর্থাৎ ইতোমধ্যেই তিন ভাই ও এক বোনকে হারিয়ে ছুটুর পরিবার দিশেহারা ।
ফেসবুকে এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ছুটু লিখেছেন ‘ ১৯/২০ দিন ধরে তার পরিবারের এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পৌর মেয়র, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ দায়িত্বশীল কোন মহল কেউ মানবিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেনি।
বুঝলাম করোনা ছোঁয়াচে রোগ, কিন্তু দূর থেকে সামান্য সহযোগিতাও কি তারা প্রাপ্য ছিলো না এমনকি এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনরাও অনেকে অবহেলা থেকেই দূরে সরে রয়েছেন এখনো।’
তবে একই স্ট্যাটাসের শেষে কৃতজ্ঞতার সাথে তার একান্তই কাছের বন্ধু ও সুহৃদদের স্মরণ করে তিনি লিখেন ‘যাদের সহযোগিতা করার কথা ছিলো তাারা না করলেও সকলে মুখ ফেরায়নি কিছু মানবিক মানুষ অসুস্থ সদস্যদের খাবার সরবরাহ থেকে শুরু করে ঔষধপত্র সকলকিছু যুগিয়েছে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও। তবে দিনশেষে দায়িত্বশীল ব্যক্তিগুলোর প্রতি এক নিরব জিজ্ঞাসা থেকেই যায়। কাল এমন অবস্থা আপনার পরিবারের সাথে হলে আপনি কি করবেন ?
এদিকে ছুটুর পরিবারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ছুটু জানান, তার পরিবারের ৫ জন সদস্য এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । এরা হলেন বড় ভাবী মমতাজ বেগম যার অক্সিজেন পালস প্রতিনিয়ত উঠানামা করছে। বড় ভাইয়ের ২ ছেলে মনোয়ারুল ইসলাম রবি ও রাজিবুল ইসলাম রাজন, মনোয়ারুলের ১২ বছরের মেয়ে রাইসা এবং মেজো বোন শিরিনের মেয়ে সাবিহা সুলতানা। একই সাথে বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ৬ জন।
সর্বশেষ গত ১৯ জুন তাদের বাসা প্রশাসন থেকে লকডাউন করা হলেও তারা নুন্যতম কোন মানবিক সহযোগিতা যেমন: খাদ্য কিংবা প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ কোন কিছুই পায়নি তারা যা অত্যন্ত কষ্টের।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ