পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যে খাতে দরকার নেই, যে কাজ এখন করার প্রয়োজন নেই, এমন অপ্রয়োজনীয় খাতে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আনপ্রোডাক্টিভ খাতে টাকা দেয়া হচ্ছে। এমন এমন কাজ করা হচ্ছে যে কাজগুলোর কোনো দরকারই নেই। দেখবেন যে স্কুলে-মাদরাসায় টাকা দিয়েছে বড় বড় গেইট তৈরি করতে। এই মুহুর্তে তো গেইট তৈরি করার চেয়ে ক্লাস রুম তৈরি করা বেশি দরকার। সেটা তারা করছে না। কারণ লুট করার জন্যে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধবংস করছে, লুট করছে। তারা দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। মেগা প্রজেক্টে গণলুট চলছে এখন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট হয়ে যাচ্ছে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট। এভাবে মেগা প্রজেক্টটাকে তারা টাকা বানানোর প্রজেক্ট হিসেবে তৈরি করে নিয়েছে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘সমাজ উন্নয়নে মৃত্যুঞ্জয়ী জিয়া’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতির কারণে টিকা পাচ্ছে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কি করুণ অবস্থা। এখন পর্যন্ত টিকার কোনো নিশ্চয়তা নেই এবং টিকার নিশ্চিয়তা হবেও না এজন্য যে, যারা স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত, টিকার সঙ্গে জড়িত-এরা সবাই দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে গেছে। এতো বড় দুর্নীতি করছে যে দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের যে জীবন সেটাকে তারা মূল্যহীন করে ফেলেছে।
দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই অভিযোগ করে তিনি বলেন, খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন ভয়াবহ সব খুন, ভয়াবহ সব হত্যার ঘটনা। মেয়ে বাবা-মা-বোনকে হত্যা করছে। এগুলো হচ্ছে একটা আর্থসামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি। এটার কারণ হচ্ছে- আজকে দেশের মধ্যে গণতন্ত্র নেই। দেশে সেই সমাজ ব্যবস্থাটা নেই, জবাবদিহিতাটা নেই। আজকে অবস্থাটা এমন একটা পর্যায় চলে গেছে যে পর্যায় থেকে ফিরিয়ে আনার একমাত্র দায়িত্ব জিয়াউর রহমানের দল বিএনপির।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, একদলীয় শাসনের কবরের ওপর বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাগান রচনা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, স্বৈরশাসনের গোরস্তানের ওপর সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আরেকবার আজকে গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র উপহার দেবে সেই বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে। আসুন আমরা শুভ দিনের প্রতীক্ষা করবো না শুধু, শুভ দিনকে এগিয়ে আনার জন্য আমরা একসাথে কাজ করবো।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মাহবুবউল্লাহ, বিএসএমএমইউ‘র প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গোলাম হাফিজ কেনেডী, জামাল উদ্দিন রুনু, লুৎফুর রহমান, তোজাম্মেল হোসেন, হাসনাত আলী, মাসুদুল হাসান খান, কামরুল হাসান, আব্দুল কুদ্দুস, প্রফেসর মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, জিয়া পরিষদের মহাসচিব এমতাজ হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশ নেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।