পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহ-সংশয় তৈরি হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তা দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা প্রায় দেখছি সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব জায়গায় ভারতের দেয়া উপহারের ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের যথেষ্ট রকমের সন্দেহ আছে এবং উপহার হিসেবে যেগুলো এসেছে সেগুলো নিয়েও মানুষ অনেক কথা বলছে। আমার প্রস্তাব, মানুষের যে সন্দেহ, অনাস্থা এগুলো দূর করার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য সভ্য দেশগুলোতে যা করেছে-যুক্তরাজ্যে কুইন রানী নিজে প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছেন, রাশিয়াতে পুতিন নিয়েছেন, আমেরিকাতে বাইডেন নিয়েছেন। আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী আপনি আজকে প্রথম টিকাটা নিন। নিয়ে মানুষকে বলেন যে, এটাতে ভয়ের কিছু নেই। এটা করুন। তাহলে মন্ত্রীরা করুন, তার এমপিরা করুন- টিকাগুলো নিন। তাহলে দেখবেন যে, সমন্ত মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘গণঅভ্যত্থানে দিবসের ডাক স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, টিকা এদেশের মানুষ নেবে। তবে এই টিকায় আস্থা আনতে হবে এবং একই সঙ্গে সেটাকে বিনামূল্যে মানুষকে দিতে হবে। আমরা চাই দেশের সমস্ত মানুষ টিকা পাক। আমরা প্রথমেই বলেছি, বিনামূল্যে টিকা দিতে হবে। এই কথা প্রেস কনফারেন্স করে বলেছি, এমনকি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব লন্ডন থেকে এই কথা বলেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। করোনার টেস্ট নিয়ে কি খেলা খেলেছে? রিজেন্ট হসপিটাল থেকে শুরু করে কিভাবে তারা লুট করেছে। আজকে আবার ভ্যাকসিন নিয়ে তারা একই কাজ শুরু করেছে। এদের মূল্য লক্ষ্যই হচ্ছে লুট করা। দুর্নীতি-লুট ছাড়া এদের কিন্তু কোনো বিষয়ে কোনো লক্ষ্য থাকে না।
সর্বক্ষেত্রে জনগণের সাথে সরকার প্রতারণা করছে অভিযোগ করে এই সংকট থেকে উত্তরণে সকল রাজনৈতিক দলের বৃহত্তর ঐক্যের আহবান জানান মির্জা ফখরুল।
গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা আমাদের অধিকার। প্রতিটি জনগণের এই অধিকার রয়েছে। টিকা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিনামূল্যে টিকা চাই। এটা ব্যক্তি বিশেষ ২/৪জনকে নয়, এই টিকা সবাইকে দিতে হবে। রিকসাওয়ালা, কৃষক, ফুটপাতের দোকানদারসহ সকলে যাতে টিকা দিতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের মনে সন্দেহ দূর করতে করতে আমি আবেদন করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে, উনি প্রথমে টিকা নেবেন। আমি তাকে আহবান করেছিলাম যে, আপনি ভয় পাবেন না, আমার নাম থাকলে আমিও টিকা নিতে রাজি আছি। কিন্তুপ্রধানমন্ত্রী আগামী বুধবারে টিকা দেবেন না। উনি অন্ধকারে অন্তরীণ থেকে ওখান থেকে আওয়াজ দিয়ে উদ্বোধন করবেন। ভারতেও একই টিকা নরেন্দ্র মোদীও নেননি। প্রধানমন্ত্রী টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন কেনো? উনার পরামর্শদাতা হলো ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী। এটা আমার কথা নয়। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ১৯৬১ সন থেকে। এই কথাটা ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অন্যতম শশাঙ্ক ভট্টাচার্য এর লেখায় রয়েছে।
অক্সফোর্ড-অস্ট্রেজেনেকার টিকার টেনে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, অক্সফোর্ড-অস্ট্রেজেনেকার একই টিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিনছে দুই ডলার ৩০ সেন্ট দিয়ে। ভারত সরকার কিনছে ২ ডলার-আড়াই ডলার দিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশ কিনছে ৫ ডলার দিয়ে। কারণটা কি? কারণ হচ্ছে প্রাইভেট কোম্পানি, মিডল ম্যান নিয়ে যাচ্ছে বাকী টাকাটা। এই বাকি টাকার একটা অংশ আবার আমেরিকা চলে যায় কিনা আমি জানিনা।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বিএনপির শওকত মাহমুদ, গণসংহতি জুনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।