পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি সব সময় আওয়ামী লীগের আমলে বিনষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমি এই কথাটা জোর দিয়ে বলতে চাই যে, একটা সার্ভে করুন যে, কতজন হিন্দু স¤প্রদায়ের তাদের সম্পত্তি, তাদের বাড়ি-ঘর দখল করে আছে কারা? সেখানে বিএনপির লোককে কী তারা খুঁজে পাবে না। বেশিরভাগই দেখবেন আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করে আছে।এটা হচ্ছে বাস্তবতা। অথচ অবলীলায় তারা এই মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। গতকাল শনিবার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে কেএম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার দেশে আতঙ্ক ও মিথ্যা প্রচারণা ছড়িয়ে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য মন্ত্রী সুনামগঞ্জে যে সা¤প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে সেই সম্পর্কে অবলীলায় মিথ্যাচার করে চলেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে দেখে, বিএনপিকে ভয় পায়, বিএনপিকে নিয়ে তারা দুঃস্বপ্ন দেখে। এখানেও (সুনামগঞ্জে) তারা চেষ্টা করেছে বিএনপিকে কিভাবে চালানো যায়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ দিতে চাই তারা আজকে এর প্রকৃত চিত্রটা তুলে ধরেছেন। যুবলীগের নেতার সঙ্গে ওই এলাকার হিন্দু স¤প্রদায়ের ভাইদের কারো হাওড়ের বিষয় নিয়ে সমস্যা ছিলো এবং তারই কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ বলছে যে, এটার সাথে বিএনপি জড়িত আছে এবং অন্যান্যদের কথা বলছে। এটা তাদের মজ্জাগত। যখন তারা ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসনে, জনগণকে নিরাপত্তা দিতে, সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতিকে ঠিক রাখতে, তখনই তারা এই সমস্ত ঘটনা ঘটায় এবং বিএনপিকে দায়ী করার চেষ্টা করে।
দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্য আরো সংগঠিত হওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কখনো নিরাশ হয়নি, আমরা হতাশ হয়নি। আমরা নিজেরা সংগঠিত হচ্ছি, আমরা ১০/১৪ বছর ধরে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছি। আমরা এই মূল্য আরো দেবো।
তিনি বলেন, আমরা এখন যে, সংগঠিত হওয়া শুরু করেছি, এই সংগঠিত যদি ঠিকমতো হতে পারি তাহলে নিঃসন্দেহে এই সরকারকে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হবো এবং তাদেরকে সরে যেতে বাধ্য করতে সক্ষম হবো। একটা কথা মনে রাখবেন হতাশাই শেষ কথা নয়, হতাশার পরেই নতুন সূরযদোয় হবে। আমাদের অবশ্যই সেই সময় আসবে যখন আমরা এদেরকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ ও জনগনের মালিকানাকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমান বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি আমাদের জন্যে অনুপ্রেরণার মানুষ। এই সংকটময় সময় কেএম ওবায়দুর রহমান সাহেব নিশ্চয়ই আমাদের সামনে একটা বাতিঘর হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৮ সালে কেএম ওবায়দুর রহমান বিএনপির মহাসচিব ছিলেন। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ কেএম ওবায়দুর রহমান মারা যান।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণকে আজকে ঘরে বন্দি রেখে কিছু বিদেশীদের এনে সার্টিফিকেট দিয়েছে। ঠিক যেভাবে এই সরকার গায়ের জোরে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে, ঠিক তেমনি ভাবে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী কায়দায় তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আজকে দেশের অঘোষিত বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের অবস্থার তো গোল্লায় যাচ্ছে। মোটা চালের দাম ৫২ টাকা। আর বিদেশ থেকে প্রতিদিন একেকটা ধরে নিয়ে আসছে। আর প্রথম কথা তারা বলছে, বাংলাদেশ যে অগ্রগতি পথে দোড়াচ্ছে দেখবার মতো। নিজেদের দেশে কথা বলবার মতো মানুষ নাই। বিরোধী দল যদি কথা বলে সেই কথার পাল্টা পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করতে পারবে, পুলিশ দিয়ে পিটাতে পারবে কিন্তু জবাব দিতে পারবে না একটারও।
তিনি বলেন, কেবল জিডিপি মানে দেশের অর্থনীতির উন্নতি না। করোনার আগে দরিদ্র লোকের সংখ্যা শতকরা ২১ ভাগ, এখন ৪২ ভাগ। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোর মালিকদের সব মিলে প্রথম দিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। দুই বছরের মধ্যে শোধ করে দেবার কথা ছিলো। তারা বলেছে পারবো না। পরে আরো ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিক ছাটাই প্রতিদিনের ঘটনা। আর কি রকম অত্যাচার চলছে সেটা তো জানেন। এরকম অবস্থা থেকে উত্তরণে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাটের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আমীরুল ইসলাম আলিম, সাইফুল আলম নিরব, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফখরুল ইসলাম রবিন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন এবং প্রয়াত নেতা কেএম ওবায়াদুর রহমান কন্যা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।