Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামপুরে মাদকে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ

প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
মাদকের রমরমা ব্যবসায় যুবসমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত করছে একটি মহল। জামালপুরের ইসলামপুরে মাদক বিক্রি জোড়েসোরে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক স¤্রাটরা। এতে প্রতিনিয়তই যুবসমাজ ধ্বংসসহ জমি-ঘর আসবাবপত্র বিক্রি করে নিঃস্ব হতে বসেছে সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাথর্শী ইউনিয়নের পাথর্শী গ্রামের মাদক স¤্রাট যদুর জমজমাট মাদক ব্যবসায় পশ্চিমাঞ্চলের যুবসমাজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে। উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে পাথর্শী গ্রামের মৃত আ. কুদ্দুসের ছেলে যদু মিয়া দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী আরো জানায়, মাদক স¤্রাট যদু ইতোমধ্যে মাদক ব্যবসা করে লাখপতি বনে গেছে। এছাড়া যদু মিয়ার মাদক ব্যবসার সাথে বিশাল একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। একই এলাকার পাথর্শী গ্রামের মৃত ছবর আলীর ছেলে মমতাজ আলী ও ধলা মিয়া, মৃত রবিজল ডাকাতের স্ত্রী জেলেহা, নারগিছ বেগম। এই সিন্ডিকেট উত্তরবঙ্গ ও দেশের বিভিন্ন মাদক পয়েন্ট থেকে ইয়াবা,  হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য এনে এলাকায় রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন উঠতি বয়সের যুবকদের মাদক সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে মাদকের ভয়াবহ ছোবলের ফলে যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অবাধে মাদক বিক্রির ফলে এলাকার সুধী, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, মাঝে মাঝে এসব মাদকসেবীদের আটক করলেও দ্রুত ছাড়া পেয়ে আবারো জোরেসোরে ব্যবসা চালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, ইসলামপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত আটক করার ব্যবস্থা করলে হয়তো  এলাকা কিছুটা হলেও মাদকমুক্ত হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। উল্লেখ্য,  মাদক, জুয়া, বাল্যবিয়েকে না বলুন সমাজকে রক্ষা করুন। এই প্রত্যয়  ব্যক্ত করে মাদকমুক্ত ইসলামপুর গড়ার লক্ষ্যে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম এহছানুল হক মামুন যখন মাঠে নেমেছেন ঠিক তখনি ইসলামপুরের ইতিহাসে বিশাল একটি বালতি মদ ও ফেনসিডিলের চালান ধরা পড়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জামালপুরের সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর খন্দকারসহ ৬ সদস্যের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকালে ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউনিয়নের গিলাবাড়ী মিয়াপাড়া গ্রামে আ. হাকিম মিয়ার পুত্র হাবিবুর রহমান সোহাগের গোয়ালঘর ও বসতঘরে ২৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ৩৯৩ বোতল অফিসার্স চয়েজ ও টেংগু মদ উদ্ধার করেন। মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করতে পারেনি। ইসলামপুরবাসী বিগত দিনে এতবড় মাদকের চালান উদ্ধার হতে দেখেনি। তাই পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামপুরে মাদকে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ