Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেকুয়ার পাহাড়ে বসবাস ঝুঁকিতে ১০ হাজার মানুষ

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২১, ১২:০৭ এএম

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ও টৈটং ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ পাহাড়ে চরম ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এসব মানুষকে চলতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় থেকে অন্যত্রে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়া না হলে যে কোন মুহূর্তে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
স্বামী হারা রহিমা বেগম বিগত ১০ বছর ধরে ছোট একটি গৃহে পাহাড়ে বসবাস করছেন। বাড়ি সংলগ্ন জায়গায় রোপিত কাঁঠাল ও আম গাছের ফল বিক্রি করেই চলে সংসারের খরচ। এই বৃদ্ধার মত নুরুল ফকিরের স্ত্রী রুজি আক্তার ও জালাল আহমদের ছেলে মাহামুদুল করিম অসহায় অবস্থায় পাহাড়ে বসবাস করছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। ঠিক তাদের মত কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী, টৈটং ও বারবাকিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করছেন সীমাহীন কষ্টে।

শিলখালীর পাহাড়ে সেগুন বাগিছা এলাকায় গতকাল সরেজমিন গিয়ে এমন তথ্য ওঠে এসেছে। মৌসুম অনুযায়ী ফল বিক্রি করে সংসার চলছেও বাকিটা সময় পাহাড়ে লাকড়ি কুড়িয়ে যা আয় তা দিয়ে চলে সংসারের হাল অবস্থা। নাই টিউবওয়েল ও সড়ক যোগাযোগ। বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা ব্যবস্থাও নাই। অনেক কষ্টে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাছাড়াও মাঝে মধ্যে বনের হাতি এসে বেশ বাগড়া দেন বসতভিটায়। আবার মাঝে মধ্যে লোকজন এসে নানা অযুহাতে হাতিয়ে নেয় সঞ্চয় করা টাকা।

তারা আরো জানিয়েছেন, পাহাড় কেটে নিধন ও পাহাড়ের গাছ কাটার ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভারি বর্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে কোন সময় ভয়াবহ পাহাড় ধস এবং ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও উপায় না পেয়ে পাহাড়ে বসবাস করছেন। তাদের দাবি জনপ্রতিনিধিরা যেন তাদের প্রতি নজর দেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাহাড়

২০ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ