পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো.ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দক্ষ ও সুনাগরিক তৈরিতে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম অপরিসীম ভূমিকা রাখছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণাল্য়ের সভাকক্ষ হতে অনলাইন ফ্ল্যাটফরমে “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’র উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ” শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন-২০২১ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থা সমূহ ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে উদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সার্বজনীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মদার্যাপূর্ণ এ প্রকল্পটি সারাদেশের ৬ হাজার ৪ শত ৫০টি মন্দির অবকাঠামো ব্যবহার করে ৫ হাজার ৮০০টি প্রাক-প্রাথমিক, ৪০০টি গীতা শিক্ষা ও ২৫০টি বয়স্ক স্তরের শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করছে এবং প্রতিবছর ১ লক্ষ ৯২ হাজার ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করছে, যা হিন্দু জনগোষ্ঠীর আশাব্যঞ্জক সাড়া জাগিয়েছে।
মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম -৫ম পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রঞ্জিত কুমার দাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম পিএইচডি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, ট্রাস্টি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, শ্যামল সরকার, ট্রাস্টি রেখা রাণী গুণ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. আব্দুল আওয়াল হাওলাদার ও ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।