Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক ও জনপথের সাড়ে ৫ কোটি টাকা লোপাটের চেষ্টা

প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেক জালিয়াতির মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোষাগার থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ব্যাংক কর্মকর্তার তৎপরতার কারণে ওই টাকা লোপাট করতে পারেনি এক প্রতারক ঠিকাদার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক বিভাগের এক কর্মচারী ও ওই ঠিকাদার পরস্পর যোগসাজশে মাত্র ২৬ হাজার ৭৯০ টাকার বিপরীতে বিপুল পরিমাণ এই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ বাদী হয়ে সড়ক ও জনপথ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কম্পিউটার অপারেটর আবুল আউয়াল সরকার ও প্রতারক ঠিকাদার মো. শরীফ আলমের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরর পর থেকে কম্পিউটার অপারেটর আবুল আউয়াল সরকার পলাতক রয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগ ও থানা সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার বজ্রপুরের মো. শরীফ আলমের মালিকানাধীন তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথা মেসার্স আবদুল্লাহ আল মামুন এর নামে সড়ক বিভাগের হিসাব নং ৫০০২, চেক নং-ম-৮৬৯১৩৬ (তারিখ : ১৮/০৯/২০১৬ইং) চেকে এবং চেকের অ্যাডভাইসে ৯ হাজার ৪শ টাকার স্থলে ২ কোটি ৯ হাজার ৪শ টাকা, মেসার্স এন. ইসলাম এন্ড কোংয়ের নামে একই হিসাবে চেক নং-ম-৮৬৯১৩৭ এবং চেকের অ্যাডভাইসে ১১ হাজার ৪৬০ টাকার স্থলে ৩ কোটি ১১ হাজার ৪৬০ টাকা এবং একই হিসাবে মেসার্স হেলাল এন্টারপ্রাইজের নামে চেক নং-ম-৮৬৯১৩৮ এবং চেকের অ্যাডভাইসে ৫ হাজার ৯৩০-এর স্থলে ৫০ লাখ ৫৯৩০ টাকা লিখে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখায় ওই ঠিকাদারের হিসাবে (ঠিকাদার মো. শরীফ আলম) গত ১৯ সেপ্টেম্বর জমা দেওয়া হয়।
চেকগুলো পেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওইদিনই ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা সংগ্রহ করে।
এদিকে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যাবস্থাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করার জন্য সড়ক বিভাগকে চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে সড়ক বিভাগের টনক নড়ে। পরে তারা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পায় ওই তিনটি চেকের বিপরীতে মাত্র  ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
পরে সড়ক বিভাগ ২০ সেপ্টেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে গ্রাহককে টাকা না দিতে অনুরোধ জানান। চিঠি পেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা ট্রান্সফার করে ব্যাংকের হিসাবে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গত ২০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ বাদী হয়ে প্রতারক ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কম্পিউটার অপারেটর আবুল আউয়াল সরকারের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বড় অঙ্কের লেনদেন হলে আমরা গ্রাহকের সাথে কথা বলে টাকা পরিশোধ করি। সে হিসেবে সড়ক বিভাগের সাথে কথা বললে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
সড়ক ও জনপথ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু এহতেশাম রাশেদ জানান, আমি আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে যাচ্ছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত পাব। এ ঘটনায় জড়িত কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক ও জনপথের সাড়ে ৫ কোটি টাকা লোপাটের চেষ্টা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ