প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বোট ক্লাবের ঘটনা আড়াল করতে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেনস্তা করার চেষ্টাতেই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বুধবার (১৬ জুন) রাতে বনানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন তিনি।
পরীমণি বলেন, এটা খুবই স্পষ্ট এবং বোঝা যাচ্ছে আমাকে এখন নানা রকমভাবে... এটা ষড়যন্ত্র। তারা যদি প্লান করে হেনস্তা করে, আসলে এটা দুঃখজনক। আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে এখন ঠিক নাই। আর এ রকম অপ্রীতিকর আমি কিছু যদি ঘটিয়ে থাকি তাহলে সেটা এতদিন পর কেন মিডিয়ার সামনে আসলো। যদি ৮ তারিখের ঘটনা হয়ে থাকত তাহলে কোনো না কোনোভাবে মিডিয়ার কাছে অবশ্যই পৌঁছাত। আপনারা সবাই বিষয়টি বুঝতে পারছেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটা নিয়ে কথা হয়েছে, আমি চাই এটা নিয়েও তদন্ত হোক। এটাও আমরা সবাই জানার চেষ্টা করি। আপনারা আমাকে হেল্প করেন।
এর আগে পরীমণির বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে অল কমিউনিটি ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ক্লাবটির সভাপতি কে এম আলমগির ইকবাল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে কিছুদিন আগে (৮ জুন) ছোট্ট একটি অঘটন ঘটেছিল। আমাদের ক্লাব বন্ধের সময় হয়ে এসেছিল। তখন কয়েকজন লোক ক্লাবে আসেন। গেটে দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ডরা ফোন করে জানান, তারা কিছুক্ষণ আগে একবার এসেছিলেন। ভুল করে তারা ফোন ও কিছু কাগজ রেখে গেছেন। সেগুলো নেয়ার জন্য আবার এসেছেন।’
আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন আছে। বিশেষ করে কোনো মেয়ে যদি ক্লাবে আসে তাহলে তাকে কিছু ড্রেস কোড মেনে আসতে হয়। সেদিন এখানে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরা। তখন আমাদের কর্মকর্তারা বলেন, আপনারা তো ক্লাবের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তাদের ক্লাব থেকে এটা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে তারা যে সদস্যদের মাধ্যমে ক্লাবে আসেন তিনিও তাদের চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা যেতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে আমাদের সেই সদস্য চলে যান। এর মধ্যে আমাদের ক্লাবের সব কর্মকর্তা চলে যান। শুধু দুজন ওয়েটার ছিল। তখন তারা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এলে তারা ক্লাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের হেনস্তার অভিযোগ করেন। কিন্তু বাস্তবে তখন আমাদের তেমন কেউ ছিল না। ঘটনার সময় তখন রাত ১টা থেকে দেড়টা বাজে। বরং এই সময়ে একজন আমাদের ক্লাবের ১৫টি গ্লাস, নয়টি অ্যাসট্রে, বেশকিছু হাফ প্লেট ভাঙেন। পরে আমরা জানি, তার নাম পরীমণি। পুলিশ এসেও এর সত্যতা পায়। পরে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতনদের জানায়। তারা ওই পুলিশ সদস্যদের চলে যেতে বলেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী যে সদস্যের মাধ্যমে তারা এসেছিলেন, আমরা তাকে শোকজ করেছি।’
এদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে পরীমণির বিরুদ্ধে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা হয়েছে বলা হলেও সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কিছু বলেননি ক্লাব সভাপতি। জিডির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো জিডি হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।