পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে অপহৃত ওই স্কুলছাত্রীকে বাগবাড়ীয়া কবরস্থান এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই ছাত্রীর বাবা সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের রাউৎগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও বাহ্মণবাওগা নুরজাহান কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় একই এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে জাকারিয়ার মুদি দোকানে সদাই কিনতে যায়। ওই সময় রমজান আলীর নেতৃত্বে জাকারিয়া, রায়হান ও মেহেদী হাসান মিলে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন সোমবার সকালে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অপহরণকারীদের পরিবারকে ওই ছাত্রীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে তাদের পরিবার অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করলে বুধবার দুপুরে বাগবাড়ীয়া কবরস্থান এলাকায় ওই ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার মধ্যে ফেলে যায় তারা। ছাত্রীকে উদ্ধার করে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশে খবর দিলে তারা ছাত্রীকে থানায় নিয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, অপহরণকারী মেহেদী হাসানের সহযোগিতায় তিন বন্ধু রমজান, রায়হান ও জাকারিয়া ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। অপহৃত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টেরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে অপহরণ করে তিন দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছে। অপহরণকারীরা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তার মেয়েকে রাস্তার মধ্যে ফেলে যায়। তাদের শর্ত ছিল মেয়েকে ফিরে পেতে ওই সড়কে আমাদের কোনো লোকজন থাকতে পারবে না। তাদের কথা মতো ওই স্থানে আমরা কেউ ছিলাম না। ফেলে যাওয়ার পর আমাদের খবর দিলে আমরা বাগবাড়ীয়া কবরস্থান এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় মামলাগ্রহণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী ধর্ষণের বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।