Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রানীনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই দুই ইউনিয়নবাসীর নিবিড় বন্ধন

প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার সর্বরামপুর-ভবানিপুর চৌতাপাড়া নামক স্থানে রতন ডারি খালের উপর দিয়ে চলাচলের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করায় গোনা ও কাশিমপুর ইউনিয়নবাসীর সর্বস্তরের মানুষের মাঝে যোগ হয়েছে নিবিড় বন্ধন। রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ও গোনা ইউনিয়নের অবহেলিত জনপদের মধ্যে সর্বরামপুর, কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, মঙ্গলপাড়া, ভবানীপুর, পীরেরা, বয়না, বেতগাড়ী, দুর্গাপুর, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, বেতগাড়ী গ্রামসহ এই দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার লোকের যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক জরুরি সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দা। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিকতার যুগে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হলেও নওগাঁর রানীনগর উপজেলার সর্বরামপুর চৌতাপাড়া নামক স্থানে রতন ডারি খালের উপর দিয়ে পারাপারের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো অথবা নৌকা দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় প্রায় ১৩টি গ্রামের কৃষক-শ্রমিক, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ৫ হাজার জনগণ। বর্ষাকালে নৌকায় খাল পারাপার হলেও খালের নাব্য সংকটের কারণে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তৈরি বাঁশের সাঁকোই একমাত্র যোগাযোগের ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই সাঁকোটি বেশকিছু দিন ধরে সংস্কার না করায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্কুলগামী কোমলমতী ছাত্র-ছাত্রী ও বৃদ্ধ-বণিতা চলাচলের সময় নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি বৃষ্টিপাত শুরু হলেই খালের পাশে কাদা হওয়ার কারণে সাঁকো থেকে পিছলে পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার মতো ঘটনা মাঝে-মধ্যেই ঘটে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রানীনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই দুই ইউনিয়নবাসীর নিবিড় বন্ধন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ