পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনপ্রিয় বক্তা ও ইসলামী স্কলার মাওলানা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদদান নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেও পুলিশ তাঁর খোঁজ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। চারজন মানুষের গুম হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক হলেও প্রশাসন শুরু থেকেই বিষয়টিকে অবহেলা করেছে। তিন দিন পর্যন্ত জিডি না নিয়ে গড়িমসি করেছে। যেখানে প্রশাসনের স্ব-উদ্যোগে পদক্ষেপ নেয়ার কথা, সেখানে পুলিশ তাঁর স্ত্রী- স্বজনদের এক থানা থেকে আরেক থানায় ঘুরিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মাওলানা ইমতিয়াজ প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আলেম হওয়ার কারণেই কি মাওলানা আদনান এই অবহেলার শিকার হয়েছেন? প্রশাসনের সন্দেহজনক আচরণে আজ জনমনে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আমরা সরকার ও প্রশাসনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার বলতে চাই, যদি মাওলানা আদনান প্রশাসনের কাছে থাকেন, তাহলে দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আর যদি তিনি অন্য কারো ষড়যন্ত্রের শিকার হন, তাও তাকে খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা প্রশাসনের দায়িত্ব। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বিবৃতিতে মাওলানা ইমতিয়াজ আরো বলেন, সারাদেশে জনমনে আজ আতঙ্ক ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষত দেশের আলেম সমাজ অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকারকে বলবো, গুম-খুন-গ্রেফতার-নির্যাতন এখনই বন্ধ করুন।
বিবৃতিতে তিনি গ্রেফতারকৃত সকল নিরপরাধ আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।