পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তব্যকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ১৫ কোটি লোক আছেন, তার মধ্যে ১২ কোটি লোকের কোনও সঠিক জন্ম তারিখ নেই। কারোরই বয়সের ঠিক নেই। বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন বাতিল’-এর দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের কোন লোকের বয়স ঠিক আছে? কারোরই বয়স ঠিক নাই। আমাদের সময়ে বাপ-মায়েরা বয়স ঠিক করতেন না, বয়স ঠিক করতেন হেডমাস্টার। আমরা যারা উঁচু লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছি, আমাদের বয়স ঠিক করতেন হেডমাস্টার। আজকে সেখানে খালেদা জিয়ার বয়স নিয়ে একটা মামলা করেছে, এটা দেখে হাইকোর্টের বিচারপতির প্রথমেই বলা উচিত ছিল- এইসব ফালতু কিছু দেখার জন্য হাইকোর্টের সৃষ্টি হয় নাই। তিনি প্রশ্ন করেন, আপনারা এটা কী করছেন? বিএনপির এত বড় একটা পার্টি, তার নেত্রীকে আপনারা অপমান করছেন। আমি মনে করি, তাদের উচিত হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবনে যাওয়া এবং ঘেরাও করা। আজকে সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের কারও মুক্তি নাই।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেট করেছে। এই ছয় লাখ কোটি টাকার মধ্যে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা পাবেন জনপ্রশাসন অর্থাৎ আমলারা। অর্থাৎ আমলারা এক-পঞ্চমাংশ ভাগ পাবেন। বাজেটে সরকার তাদের খুশি করেছেন। এই আমলারা সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন, তাই তাদের খুশি রাখতে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে আর সরকার দাঁড়িয়ে আছে ধারের (ঋণ) ওপরে। এই বছরের বাজেটে প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।
সমাবেশে আন্দোলনের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। আমাদের একযোগে লড়াই করতে হবে। বড় বড় দলগুলোকে বলি, আপনারা যদি ভেবে থাকেন আগামী নির্বাচনটা দেখি, তাহলে ভুল হবে। কারণ উনি সাত-এর জায়গায় ৭০টা সিট দেবেন, কিন্তু ক্ষমতা দেবেন না। সুতরাং তাকে ক্ষমতা থেকে না নামিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর বিরুদ্ধে সারাদেশকে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ একমাত্র জনগণই পারে এমন শাসক দলকে হটিয়ে দিতে। আগামীতে আমাদের এর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নাগরিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমিন বেপারী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমাউন কবির প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।