Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করলেন ড. শি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

চীনের উহানে অবস্থিত ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেন এ নিয়ে গবেষণাকাজে লিপ্ত চীনের বিজ্ঞানীদের শীর্ষ স্থানীয় একজন। করোনা ভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর তাকেই কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি হলেন, ড. শি ঝেংলি। তার প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বজুড়ে মহামারি সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-এরাবিয়া। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া বিরল এক মন্তব্যে তিনি বলেছেন, যে ঘটনার কোনো প্রমাণই নেই, তা কি করে বিশ্বের মানুষ প্রমাণ করতে চায়? ড. শি মিডিয়ার সঙ্গে সহসা কথা বলেন না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। বলেছেন, কিভাবে বিশ্ব একজন নিরপরাধ বিজ্ঞানীকে এমন দোষে অব্যাহতভাবে দোষী বলে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ড. শির ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ নেতা মনে করেন। এই ধারণা পোষণ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাই করোনা মহামারির উৎস খুঁজতে আরো গোয়েন্দা তদন্তের জন্য গত মাসে নির্দেশ দিয়েছেন বাইডেন। এসব অভিযোগ চীন বার বার অস্বীকার করে আসছে। তা সত্ত্বেও ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয় ২০১৯ সালে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যখন রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে যে, এই গবেষণাগারের তিনজন বিজ্ঞানী চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ইউনান প্রদেশে বাঁদুরের একটি গুহা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন ড. শি। তিনি বাঁদুড়ের করোনা ভাইরাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। সেখানে বাঁদুড়ের করোনাভাইরাস নিয়ে তা আরো শক্তিশালী আকারে প্রকাশের গবেষণা চলছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, ২০১৭ সালে শি এবং উহান গবেষণাগারে তার সহকর্মীরা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়, বিদ্যমান কিছু অংশের সঙ্গে বাঁদুরের করোনা ভাইরাস মিশ্রিত করে নতুন এক ধরনের হাইব্রিড করোনা ভাইরাস সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে একটি ভাইরাস ছিল যা প্রায় মানবজাতির মধ্যে সংক্রমণযোগ্য। এই ভাইরাস মানুষের শরীরে কিভাবে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এবং অনুরূপ সৃষ্টি করতে পারে তার একটি পরীক্ষা চলছিল। কিন্তু ড. শি ইমেইলে বলেছেন, তার এমন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তারা অতি বিপজ্জনক ভাইরাস সৃষ্টিও করতে যাচ্ছিলেন না। পক্ষান্তরে তারা পরীক্ষা করছিলেন যে কিভাবে ভাইরাস এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতিতে সংক্রমিত হয়। আল-এরাবিয়া, নিউ ইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ