পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (১৫ জুন) বিজিএমইএ অফিসে সাক্ষাতকালে সুইস রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন ঢাকাস্থ সুইস দূতাবাসের হেড অব পলিটিক্যাল, ইকোনোমিক এন্ড কালচারাল এ্যাফেয়ার্স, থমাস বাউমগার্টনার। সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম উপস্থিত ছিলেন।
তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলী এবং সামাজিক ও পরিবেশগত টেকসই সামর্থ্য অর্জনের ক্ষেত্রে শিল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিজিএমইএ সভাপতি সুইস রাষ্ট্রদূত’কে অবহিত করেন, বিগত বছরগুলো জুড়ে শিল্পের এই রূপান্তর ঘটেছে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া সাবলীল রাখতে সুইজারল্যান্ড সরকারকে জিএসপি প্রোগ্রামের আওতায় ইবিএ স্কীম ১০ বছরের জন্য সম্প্রসারণের অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা শিল্পের ভবিষ্যত সম্ভাবনা এবং উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ (বিশেষ করে নন কটন) এর ক্ষেত্রে শিল্পকে আরও উন্নততর করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি সোশ্যাল অডিটের জন্য ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট এর বিষয়ে সুইস দূতাবাসকে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান। তিনি পোশাক শিল্পের রুপান্তরের না বলা গল্পগুলো বিশ্ববাসীকে জানানোর বিষয়েও সুইস রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। আলোচনায় বাংলাদেশে নন-কটন এর ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, হালকা প্রকৌশলখাত এবং হাই-ভ্যালুড পোশাকের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সুইস রাষ্ট্রদূত সাসটেইনেবল ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের যে অগ্রগতি ঘটেছে, তার প্রশংসা করেন এবং সুইস সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।