Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

রূপগঞ্জে ধর্ষণ মামলা

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার দুপুরে উপজেলার মুড়াপাড়া মঠেরঘাট এলাকায় রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বাবা আব্দুল হক, মা মাজেদা বেগম, ভাসুর মামুন মিয়ার স্ত্রী বিপাসা বেগম।

ভুক্তভোগীদের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, গত ২ বছর আগে আবুল হোসেন আমিরের সঙ্গে উপজেলার মুড়পাড়া ইউনিয়নের মীরকুটিরছেও এলাকার নেহা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আবুল হোসেন আমির তার স্ত্রী নেহা আক্তারকে রেখে প্রবাসে চলে যায়। বিয়ের পর ওই গৃহবধূ নেহা আক্তার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গৃহবধূ নেহা আক্তারের সঙ্গে ভারতীয় এক যুবকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ৮ জুন গৃহবধূ নেহা আক্তার শশুর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে ভারতীয় ওই ছেলের কাছে যাওয়ার জন্য পালিয়ে যায়। পরে ভাসুর মামুন ও দেবর রাকিবুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন পুলিশের সহযোগীতায় নেহা আক্তারকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। গৃহবধূর পরিবারের লোকজন পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার আশ^াস দিয়ে আবুল হোসেন আমিরের বড় ভাই মামুন মিয়া ও ছোট রাকিবুল ইসলামসহ পরিবারের সকল সদস্যদেরক মীরকুটিরছেঁও এলাকায় নেহা আক্তারের বাড়িতে ডাকে। গত গত শুক্রবার বিকেলে ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলাম গৃহবধূর বাবার বাড়িতে গেলে পুলিশ তাদের ধর্ষণের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তদন্ত করে প্রকৃত উন্মোচনের দাবি জানান।
এর আগে, গত শুক্রবার রাতে এক ধর্ষণের অভিযোগ এনে গৃহবধূ ভাসুর ও দেবরকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পুলিশ ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, গৃহবধূ ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলামকে আসামী করে ধর্ষনের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর ভাসুর দেবরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ