পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি বহিষ্কৃত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল দুপুর ১টার দিকে তাকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিমের আদালতে নেয়া হয়। সেখানে তিনি জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিশি কান্তা সাহা জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় সৌমেনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে তার রিমান্ডের আবেদনও করা হয়। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, কুষ্টিয়ার ডিবি কার্যালয়ে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
সৌমেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খান জানান, তার স্ত্রী আসমার সঙ্গে শাকিলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত রোববার ভোরে তিনি খুলনা থেকে বাসযোগে কুষ্টিয়ায় আসেন। এ সময় তিনি সার্ভিসের জন্য পাওয়া রিভলভার ও দুটি ম্যাগজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, বেলা ১১টার দিকে সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রথমে শাকিলকে গুলি করেন তিনি। এরপর আসমাকে গুলি করেন। এ সময় শিশু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও গুলি করেন। একটি ম্যাগজিনের গুলি শেষ হয়ে গেলে আরেকটি ম্যাগজিন ব্যবহার করেন।
এদিকে, গত রোববার দিবাগত রাতে নিহত আসমা খাতুন, তার ছেলে রবিন ও পরকীয়া প্রেমিক শালিক খানের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার। তিনি আরও জানান, নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাকিলের লাশ তার বাবা মেজবা রহমানের কাছে এবং আসমা খাতুন ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলের লাশ মা হাসিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ জোহর নিহত আসমা খাতুন ও তার ছেলে রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে নিহত শাকিল খানের নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় বাদ জোহর জানাজা শেষে সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, এই হত্যাকাণ্ডে সৌমেনকে আসামি করে গত রোববার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।