Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদের কোন সিনেমাই আশানুরূপ সাফল্য পায়নি

প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আকাশ নিবির: বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পে এখন জোয়ারভাটা চলছে। সিনেমা সাফল্যের কোনো ধারাবাহিকতা নেই। একটি একটু ভাল গেলে তারপর আর কোনো সিনেমার খোঁজ থাকে না। গত ঈদ-উল-ফিতরে দর্শক কিছুটা হলমুখি হয়েছিল। দর্শকের এই হলমুখী হওয়া নিয়ে কেউ কেউ বলে ফেলেছিলেন আবার বাংলাদেশি চলচ্চিত্র আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু এবারের ঈদ-উল-আযহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর ব্যবসায়িক পরিস্থিতি দেখে পুনরায় হতাশ হতে হচ্ছে। গত ঈদে যশোরের বৃহত্তম সিনেমাহল মণিহারে শিকারী সিনেমাটি ভাল ব্যবসা করলেও, এবার মুক্তিপ্রাপ্ত বস্গিরি সিনেমাটি কোন সাড়া ফেলতে পারেনি। মণিহার সিনেমাহলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, মণিহার সিনেমা হলের মোট সিট সংখ্যা ১ হাজার ৪০০টি। এরমধ্যে কোনো শো’ই হাউজ ফুল হয়নি। ঈদের দিন ৮০০ থেকে ৯০০ সিট পূরণ হলেও এখন তাও হচ্ছে না। পরদিন থেকে কমতে শুরু করেছে। মণিহারে মোট চারটি সিনেমা হলের মধ্যে ইতিমধ্যেই দুইটি বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমার মনে হয় এই দুইটি সিনেমা হলও বন্ধ হয়ে যাবে। ময়মনসিংহ শহরে এই ঈদ-উল-আযহায় মুক্তি দেয়া হয় শাকিব খান অভিনীত বসগিরি ও শুটার এবং নতুন মুখ রোশান ও পরীমণি অভিনীত রক্ত। হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের দিন পূরবী সিনেমা হলে বসগিরি হাউজফুল হলেও পরবর্তীতে দর্শক এতই কমে যায় যে হলগুলোর সিটের চার ভাগের তিন ভাগই খালি পড়ে থাকে। পূরবী হল কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা ভেবেছিলাম গত ঈদের মত এবারও আমরা ব্যবসা সফল হবো। কিন্তু এখন পুরো চিত্রই উল্টো হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাভার সেনানিবাস অডিটোরিয়ামে মুক্তি পায় শুটার। সিনেমা হলটি চালান মো. কাউছার আহমেদ। তিনি জানান, সিনেমাটির কোনো শো-ই হাউজফুল হয়নি। কোন কোন সন্ধ্যাকালীন শোতে ১ হাজার ৫০০টি সিটের মধ্যে সর্বোচ্চ লোক হয়েছে ২৫০ জনের মত। ছায়াবাণী সিনেমা হলে মুক্তি পায় রক্ত। সিনেমা হলের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রানা জানায়, রক্ত সিনেমায় পরীমণি ও রোশান নতুন জুটি। আর রোশান একেবারেই নতুন হওয়ায় দর্শকও তাকে খুব ভালভাবে গ্রহণ করেনি। আগে যদি তার কোন সিনেমা মুক্তি পেত তাহলে হয়তো কিছুটা ব্যবসা করা যেতো। বরিশালে অভিরুচিতে মুক্তি পায় বসগিরি। ঈদের প্রথম দিন ৪০০ দর্শক সিনেমাটি দেখে। পরদিন দেখে ২৫০ জন। তারপরের দিন ১৫০ জন। এখন কমতে কমতে গড়ে ১০-১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। অভিরুচি সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ জানান, আসলে আমরা যেভাবে শাকিব খানের সিনেমা নিয়ে আশা করেছিলাম। সে রকম ব্যবসা আমরা করতে পারি নাই। কোন কোন শো আমরা ইচ্ছে করেই বন্ধ করে দিয়েছি। ৫ জনের কম দর্শক দিয়ে তো আর শো’র বিদ্যুৎ খরচ তোলা সম্ভব নয়। এখন পথচেয়ে বসে আছি পূজার অপেক্ষায়। আর তা না হলে পুরো সিনেমা হলই বন্ধ করে দিবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদের কোন সিনেমাই আশানুরূপ সাফল্য পায়নি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ