পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, ইসলামের ভ্রাতৃত্ব ও মূল্যবোধের সঠিক প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের নামে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অনেক আগেই জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আর তাই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের ‘প্রকৃত মর্মবাণী’ প্রচার করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছেন। যার মধ্যে সম্প্রতি প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ূথ ক্যাপিটাল ২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্বিরাত প্রতিযোগীতার চূড়ান্ত পর্বে ভার্চুয়ালী অংশ নিয়ে প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক এই কোরআন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামের সুমহান শিক্ষা অর্জনে তরুণ সমাজ অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হবে। ইসলাম শান্তি ও সৌম্য ও ঐক্যের কথা বলে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণকারীরা ইসলামের শান্তির বার্তা সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, মুজিবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভক্ষণে আন্তর্জাতিক এই কোরআন প্রতিযোগিতার অংশ হতে পারা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মর্যাদা ও গৌরবের। স্বাগত বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড.মুশফিকুর রহমান বলেন, কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে ঢাকা ওআইসি ইয়ূথ ক্যাপিটাল ২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্বিরাত প্রতিযোগীতাটি অত্যন্ত সফলভাবে আয়োজন করা গেছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম পিএইচ.ডি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ূথ ফোরাম (ওঈণঋ) এর প্রেসিডেন্ট মি. তাহা আইহানসহ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ ভার্চুয়ালী সংযুক্ত ছিলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মিলনায়তন থেকে বাংলাদেশ অঞ্চলের সম্মানিত ৩জন বিচারক ও ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ূথ ফোরাম (ওঈণঋ) কর্তৃক নির্বাচিত বিচারক মি. ইয়াসার চোহাদার তুরস্ক থেকে ভার্চুয়ালী অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতার বিচারকাজ সম্পন্ন করেন। সারা বিশ্বের ৬টি অঞ্চল যথাক্রমে বাংলাদেশ, এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপ, ওশেনিয়া থেকে নির্বাচিত ১৫ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মাসউদ রিদওয়ান ও আমানউল্লাহ আল কাফি এই তিনজন প্রতিযোগী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।