Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবির শিক্ষক লীনা তাপসী খানের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ৮:৪৩ পিএম | আপডেট : ১০:১২ পিএম, ১৩ জুন, ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহসিনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী খান)-এর বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি-নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক ইফফাত আরা নার্গিস। বিষয়টি তদন্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলেও অভিযোগ তার। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ আখ্যা দিয়ে এর লিখিত প্রতিবাদ জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী লীনা তাপসী খান।

রবিবার (১৩ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ইফফাত আরা নার্গিস। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আগ্রহের কারণে আমি লীনা তাপসী খানের ‘নজরুল-সঙ্গীতে রাগের ব্যবহার’ নামের গ্রন্থটি সংগ্রহ করি। কিন্তু গ্রন্থটি পাঠ করে আমার এর আগে পাঠ করা ৩/৪ টি গ্রন্থের সঙ্গে বেশ কিছু অংশের হুবহু মিল খুঁজে পাই, যা পরিষ্কার চৌর্যবৃত্তি।

তিনি জানান, লীনা তাপসী খানের পিএইচডি-অভিসন্দর্ভের উপর ভিত্তি করে রচিত গ্রন্থ ‘নজরুল সঙ্গীতে রাগের ব্যবহার’ সম্পর্কে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তদন্তে এ বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি।

এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ দাবি করেছেন লীনা তাপসী খান। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে তার যেসব অভিযোগ তা মিথ্যা, ভুল এবং বানোয়াট। আমার বোর্ড আমাকে যেভাবে তত্ত্বাবধান করেছে, আমার গাইড আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে, আমি সেভাবেই করেছি। তিনি বলেন, সঙ্গীতে প্রায়োগিক বিষয়ে আমার আগে কেউ এমন কাজ (গবেষণা) করেননি। এই ধরনের গবেষণার পদ্ধতি, প্রক্রিয়াও অন্য গবেষণার চেয়ে আলাদা। একটি স্বরলিপি যখন ছাপানো হয়, তখন একটি ‘রেফ’ এর কারণে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হয়ে যায়। এতে প্রযুক্তিগত নানা ধরনের বিষয় আছে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় হুবহু স্ক্যান না করলে কাজ করা যাবে না। এখন কোথায় ফটোকপি করে দেবো, স্ক্যান করে দিবো, আমার গাইড আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমি সেভাবেই করেছি। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগকে ‘প্রতিশোধমূলক’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (ইফফাত আরা) আত্মপ্রচারণার জন্য একটা প্রতারণামূলক কাজ করছেন। আমি লিখিতভাবে এটার প্রতিবাদ জানাবো।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ সাংবাদিকদের মাধ্যমে পেয়েছিলাম। এখন দেখতে হবে বিষয়টা আসলে কী । যেকোনো বিষয়ে কথা উঠলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া যায় না, সেটা একটা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ