Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কোচিং বাণিজ্যে রাজি না হওয়ায় শিক্ষককে বরখাস্তের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় কোচিং বাণিজ্যে রাজি না হওয়ায় ইংরেজি বিষয়ের এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ওই শিক্ষক এ ঘটনার সুবিচার দাবি করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একটি আবেদনপত্র দাখিল করেছেন। ওই শিক্ষকের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, রহনপুর পৌর এলাকার প্রসাদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সাইরুল ইসলাম সুমন গত ২০০১ সালের ১ জুলাই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। গত ১৫ বছর যাবৎ তিনি নিষ্ঠার সাথে তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ চলতি বছরে ৮ মার্চ থেকে বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিং ক্লাস শুরু করেন। এতে ছাত্রীদের মাথাপিছু ৮ম শ্রেণীর জন্য ৪শ’ টাকা, ৯ম শ্রেণীর জন্য ৫শ’ এবং ১০ম শ্রেণীর জন্য ৮শ’ টাকা কোচিং ফি নির্ধারণ করা হয়। এখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্মরত শিক্ষক ছাড়াও বাইরে থেকে শিক্ষক এনে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এছাড়া এলাকার অধিকাংশ অভিভাবক গরিব ও অসচ্ছল হওয়ায় ছাত্রীদের কোচিং ফি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের ছাত্রীদের কোচিংয়ে বাধ্যবাধকতাও তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। শিক্ষা খরচ চালাতে না পেরে অনেক দরিদ্র বাবা-মা তাদের মেয়েদের পড়াশুনা বন্ধ করে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আকবর আলী জানান, ওই সহকারী শিক্ষক স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাকে বহিষ্কারের যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যে। বিভিন্ন অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান খান জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ দীর্ঘদিনের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোচিং বাণিজ্যে রাজি না হওয়ায় শিক্ষককে বরখাস্তের অভিযোগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ