পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গেল সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে কিছুটা কমেছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে টানা দুই সপ্তাহ স্বর্ণের দাম কমল। স্বর্ণের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে প্লাটিনামের দামেও কমেছে। তবে কিছুটা বেড়েছে রুপার দাম।
বিশ্ববাজারে টানা দুই সপ্তাহ স্বর্ণের দাম কমলেও আপাতত বাংলাদেশের বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা কম। কারণ দেশের বাজারে সর্বশেষ যে সময় স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে যে দাম ছিল, এখন সেই দামের কাছাকাছি রয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হবে বলে জানা গেছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গেল সপ্তাহের আগের সপ্তাহে স্বর্ণের বাজার ব্যাপক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করে। ১৯’শ ডলারের ওপরে থাকা প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বড় দরপতনের মধ্যে পড়ে ২ জুন ১ হাজার ৮৭০ ডলারে নেমে আসে। তবে ৩ জুন বড় উত্থান হওয়ায় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৯০ দশমিক ৮৫ ডলারে উঠে সপ্তাহ শেষ হয়।
এ পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ার আভাস পাওয়া যায়। ছোট ছোট উত্থানে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গত শুক্রবার প্রথমদিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৯০২ ডলার পর্যন্ত ওঠে। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে বড় পতনের মধ্যে পড়ে স্বর্ণ। ফলে সপ্তাহ শেষে পতনের খাতায় নাম লেখায় দামি এই ধাতুটি। গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ২১ দশমিক ১৪ ডলার বা ১ দশমিক ১১ শতাংশ। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮৭৭ ডলার। যা আগের সপ্তাহের থেকে দশমিক ৬৯ শতাংশ কম।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোশ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মাঝে কিছুটা দাম এপ্রিল ও মে মাসের প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকে।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দু’দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সর্বশেষ গত ২৩ মে থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বর্ণের এই দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস জানায়, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) ও নানা ধরণের দাফতরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছে না। তাছাড়া চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দেশিয় বুলিয়ান/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশে যখন স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৮১ ডলার। এ হিসাবে বাংলাদেশে সর্বশেষ স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ ডলার কমেছে।
যোগাযোগ করা হলে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বিশ্বাবাজারের যে দামের ওপর ভিত্তি করে আমরা সর্বশেষ স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছি, এখন বিশ্বাবাজারে স্বর্ণ সেই দামেই রয়েছে। সুতরাং আপতত স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমানোর সম্ভাব না কম। তবে বিশ্ববাজারে যদি স্বর্ণের দামের বড় উত্থান বা পতন হয়, তখন দাম সমন্বয় করতে হবে।
এদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে কমেছে আর এক দামি ধাতু প্লাটিনামের। সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমার মাধ্যমে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৬ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে।
তবে রুপার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে। শেষ কার্যদিবস দশমিক ২৬ শতাংশ কমার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে এই ধাতুটির দাম বেড়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৮৯ ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।