বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্র্জা। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় আবদুল কাদের মির্জার দায়ের করা হত্যা, গুম ও হামলার আশঙ্কায় অভিযোগটি নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। জিডি নম্বর-৫৪৬। মির্জা কাদের জিডিতে উল্লেখ করেন, এমপি একরাম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ তার ৩ ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সালেকিন রিমন দেশের মধ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতেছে। এছাড়া আমেরিকাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য নুরুল করিম জুয়েল তার শ্বশুর আল-আমিন, আমেরিকান প্রবাসী সেলিম চৌধুরী (সাবেক ভিপি) বাবুল, শাহাব উদ্দিন, শাহ জাহান ছোটন (সাবেক জিএস) সহ অনেকে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করতেছেন। এতে তিনি ৯৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করেন।
অভিযোগে মির্জা কাদের আরও জানান, গত শনিবার আমেরিকার সময় রাত ১০টায় ও পরদিন রোববার ৬জুন বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় এমপি একরামের কবিরহাটের বাড়ি ও আমেরিকায় আল-আমিনের ম্যাকডোনাল্ডের বাড়িতে বিবাদীরা বৈঠক করে তাকে (আবদুল কাদের মির্জা) হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেন। এছাড়া বুধবার সন্ধ্যায় আমার ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসায় বৈঠক করে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও আমার পরিষদের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অনাস্থা দিয়ে আমাকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন বলেও উল্লেখ করেন আবদুল কাদের মির্জা। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে বলেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দায়ের করার অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জানান, আমি সেসময় বাড়িতে ছিলাম না। তাছাড়া আমার বাড়িতে এধরনের কোন বৈঠকই হয়নি। তিনি (মির্জা কাদের) সে অভিযোগ গুলো আমার বিরুদ্ধে করেছেন তার সাথে আমি সম্পৃক্ত নয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র ও তার ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু বুধবার তার বাসায় আ.লীগের সভার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই সভায় কাউকে হত্যা বা গুম করার পরিকল্পনা হয়নি। এমনকি কাউকে হামলা বা পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনাও হয়নি। সেখানে দলীয় কর্মকান্ডকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।