Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারো কক্সবাজার কারাগারে প্রদীপ কুমার দাস

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ১২:০৪ এএম

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান খুনের ঘটনায় গ্রেফতার টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দীর্ঘ সাত মাস পর আবারও কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়েছে। দুদকের একটি মামলায় তাকে এতদিন চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয় একটি দল। বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে প্রদীপকে নিয়ে প্রিজনভ্যানটি কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছে। বিষয়টি ডেপুটি জেলার মো. মুনির হোসেন জানিয়েছেন। কি কারণে প্রদীপ কুমার দাসকে হঠাৎ কক্সবাজার কারাগারে আনা হলো তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি তিনি। তবে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য প্রদীপকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে প্রদীপ কুমার দাসকে ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কারাগারে নেয়া হয়। এর আগে গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাস ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রদীপের স্ত্রী চুমকি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে, যা প্রদীপ কুমার দাস ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করে পরস্পরের যোগসাজশে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ (পরিদর্শক) লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাসসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্ত করে র‌্যাব।

তদন্ত শেষে প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রদীপ কুমার দাস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ