বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর রাণীনগরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত ভাবে বাবা, মা, বোনকে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিয়ে অপহরণ নাটক সাজানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই তিন কথিত অপহরণকারীদের উদ্ধার করে অপহরণের পরিকল্পনাকারী মা ও ছেলে পাপ্পুর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে বিজ্ঞ আদালত বিচারক তাদের জেলা হাজতে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় পাপ্পুর বাবা বাবলু স্বেচ্ছায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাণীনগর পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের ভেবড়া গ্রামে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন রাতে জানা যায় উপজেলার ভেবড়া গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে বাবলু (৫০), তার স্ত্রী (৪২) ও কন্যাকে (১৪) অপহরণ করা হয়েছে। এবং অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁর পুলিশ সুপারের সহায়তায় থানা ও একডালা অস্থায়ী ক্যাম্প পুলিশ অভিযানে নেমে বাবলুর ছেলে পাপ্পুর দেয়া তথ্য মতে একই গ্রামের দুইজনকে আটক করা হয়। এরপর পুলিশ জানতে পারে তাদেরকে অপহরণ করা হয়নি বরং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাদেরকে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিয়ে অপহরণের নাটক সাজানো হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার ইউনিটের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরের দিন সোমবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মিতইল এলাকা থেকে মা-মেয়ে এবং একই দিন নাটোরের মাদ্রাসা মোড় এলাকা থেকে বাবাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর উদ্ধার হওয়া বাবলু পুলিশকে জানান, সম্প্রতি একই গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ে অপহরণ মামলায় তার ছেলে পাপ্পুকে আসামী করা হয়েছে। ওই মামলা থেকে বাঁচতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছেলে পাপ্পু, স্ত্রী এবং ছেলের বন্ধু মিলে এই অপহরণ নাটক সাজায়। যা তার জানা ছিলো না।
ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, ছেলের নামে দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাদেরকে ধরতে আসছে এমন ভয় দেখিয়ে বুঝতে না দিয়ে কৌশলে বাবলুর স্ত্রী, বাবলু ও মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অপহরণ নাটকের মূল পরিকল্পনাকারী বাবলুর ছেলে পাপ্পু, স্ত্রী এবং ছেলের এক বন্ধুসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। সাজানো অপহরণের বিষয়ে বাবলু নিজেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তবে এ ঘটনাটি আরো বিস্তারিত জানতে এবং আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।