পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই এই জুন মাসে বাংলাদেশের আকাশে নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাত বেড়ে গেছে। প্রতিবছর বজ্রপাতে মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্বের বহু দেশ বজ্রপাত থেকে নাগরিকদের সতর্ক করতে প্রযুক্তির ব্যবহারে সাফল্য পেয়েছে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহাশূন্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি; ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। অথচ এখনো আমরা বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সনাতন পদ্ধতি ‘তালগাছের ওপর’ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করে বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে যে ‘তালগাছ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়; সে গাছের সন্ধানও মানুষ পাচ্ছেন না। কোথায় তালগাছ? আবার আবহাওয়া দফতর বজ্রপাতের আগাম সঙ্কেত জানতে ‘লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর’ বসানোর যে উদ্যোগ নেয় সেটাও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেঁসে গেছে। ‘আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের সঙ্কেত ও সংখ্যা নিরূপণের লক্ষ্যে ৮টি ডিটেকটিভ সেন্সর যন্ত্রপাতি বসানো এবং ১৩টি নদীবন্দরে যন্ত্রপাতি বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সুফল নেই, মানুষ মরছে বজ্রপাতে। এর মধ্যেই প্রতিদিনই আবহাওয়া অফিসের গদবাধা সতর্কবার্তা সারা দেশে ‘বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে’ শুনে মানুষকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত ঠেকানো যায় না; তবে তা থেকে মানুষকে বাঁচানো যায় আগাম বার্তার মাধ্যমে। সে জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানোর মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ অপরিহার্য। বজ্রপাত থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে প্রযুক্তির সহায়তার বিকল্প নেই। তালগাছ তো আদি ব্যবস্থা। যে দেশের আমলারা ঘাস চাষ শিখতে, মাছ চাষ শিখতে, স্কুলে বাচ্চাদের খাওয়া শিখতে, নদীর পাড় বাঁধা শিখতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ট্রেনিংয়ের জন্য বিদেশ যায়; সে দেশে তালগাছের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বজ্রপাত ঠেকানো হাস্যকর। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম। এতে মানুষ যদি ঘরের বাইরে কম বের হলে স্বাভাবিক ভাবেই কম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। এ ব্যবস্থা ভারতে কাজে লাগিয়ে সাড়া পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে যদি মাঠে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা যায়, সেটা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। এছাড়া মানুষকে সচেতন হতে হবে।
পৃথিবীর বজ্রপাতপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া অন্যতম। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল এই অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবেই বেশি বজ্রপাত হয়। এই অঞ্চলে বজ্র মেঘের সৃষ্টিই হয় বেশি। বজ্রমেঘ বেশি তৈরি হওয়ার কারণও প্রাকৃতিক। পৃৃথিবীর আদিকাল থেকেই বজ্রপাত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় সুনামগঞ্জে। হাওরাঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে বজ্রপাতে। আর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় মার্চ থেকে জুন মাসে। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
পৃথিবীর অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বজ্রপাত প্রতিরোধে বাংলাদেশে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থার বিষয়টি এখনো পরিকল্পনাতে সীমাবদ্ধ। ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর আছে তালগাছ রোপণ পদ্ধতি। অথচ সে তালগাছ কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবন্ধ। কোথাও কোথাও কিছু তালগাছ লাগানো হলেও সুফল তেমন আসেনি। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানবাহিনীর রাডার ব্যবহার করে সফটওয়ারের মাধ্যমে দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব।
সরকারি তথ্যমতে, দেশে গত এক দশকে বজ্রপাতে মারা গেছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। গত দেড় মাসে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি বেসরকারি একটি সংস্থা। এ অবস্থায় বজ্রপাত প্রতিরোধে কী করছি আমরা?
জানতে চাইলে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম ৪০ সেকেন্ড আগে ওয়ার্নিং দিতে পারে। এটি বসানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। এক কোটি তালগাছ রোপণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৩৮ লাখ তালগাছ লাগানো হয়েছে। লাইটেনিং এরেস্টার বা বজ্রপাত প্রতিরোধক দণ্ড স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের মানুষের মধ্যে আরেক আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে বজ্রপাত ও ভূমিকম্প। গত এক সাপ্তাহের মধ্যে সিলেটে দুই দিনে ৯ দফায় ভূমিকম্প হয়েছে। আর গত এক সাপ্তাহে তথা জুনের প্রথম সপ্তাহেই বজ্রপাতে সারা দেশে ৫৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৭ জুন ৯ জন, ৬ জুন ২৫ জন, ৫ জুন ৭ জন, ৪ জুন ৯ জন, ৩ জুন ৫ জন এবং ১ জুন একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জুন বজ্রপাতে কারো মৃত্যুর কথা জানা যায়নি। জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মজিদুল ইসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত যখনই মেঘ হোক তখনই বজ্রপাত হতে পারে। কালবৈশাখী যতক্ষণ সক্রিয় থাকে, সেটা বজ্রপাতের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। বজ্রপাতের জন্য যে মেঘগুলো দরকার, সেগুলো হলে যেকোনো সময় বজ্রপাত হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী বিগত ১১ বছরে তথা ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালে দেশে বজ্রপাতে মারা গেছে ২৩৭৯ জন। ২০২০ সালে বজ্রপাতে মারা গেছেন ২৯৮ জন। তবে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটেছে ২০১৮ সালে। ওই সালে মারা গেছে ৩৫৯ জন। ২০১৭ সালে মারা গেছেন ৩০১ জন। ২০১৬ সালে ২০৫ জন, ২০১৫ সালে ১৬০ জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১১ সালে ১৭৯ জন এবং ২০১০ সালে ১২৩ জন বজ্রপাতে মারা যান। বজ্রপাতে মাঠেঘাটে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। ফলে বজ্রপাতের ফলে প্রাণ হারাচ্ছেন সংসারের কর্মক্ষম পুরুষেরা। এর ফলে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন সময় বজ্রপাতে হতাহতদের মধ্যে নারী বা শিশু থাকলেও কর্মক্ষম পুরুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা কাজ করছিল কেউ মাঠে, কেউ নৌকা চালাচ্ছিল, হয়তো বা কেউ কোনো একটা গাছের নিচে বসে বিশ্রাম করছিল।
জানা গেছে, আবহাওয়া দফতর বজ্রপাতের আগাম সঙ্কেত জানতে ‘লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর’ বসানোর উদ্যোগ নেয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮টি ডিটেকটিভ সেন্সরের যন্ত্রপাতি কেনা হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা দিয়ে। পরীক্ষামূলকভাবে এই সেন্সর বসানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, নওগাঁর বদলগাছি, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনার কয়রা এবং পটুয়াখালীতে। আবহাওয়া দফতরের দাবি ৮টি সেন্সরে পুরো দেশের চিত্র উঠে আসবে। একেকটি সেন্সরের সীমা হচ্ছে ২৫০ কিলোমিটার। প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে। এক মৌসুমে (এপ্রিল থেকে জুন) দেশে কতবার বিদ্যুৎ চমকায় ও বজ্রপাত হয়, সেটিও সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে কত দিনে এই সেন্সর বসানোর কাজ শেষ হবে আর মানুষ বজ্রপাতের আগাম বার্তা পাবেন?
আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশে ১৩টি নদীবন্দরে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের সঙ্কেত ও সংখ্যা নিরূপণের যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৬২ কোটি টাকা। এই ব্যবস্থা সঠিকভাবে চালু হলে ঝড়-বৃষ্টির সময় কোন জেলায় বজ্রপাত হতে পারে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবে আবহাওয়া দফতর। এমনকি ১০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা আগে বজ্রপাতের সঙ্কেত দেয়া যাবে। কিন্তু সেটা কত দিনে আলোর মুখ দেখবে?
জুন মাসকে বলা হয় বজ্রপাতের উর্বর মৌসুম। প্রতিদিন ঝড়োবৃষ্টির সময় দেশের কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। অথচ বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী, সেটি নিয়ে বাংলাদেশে তেমন কোনো গবেষণা নেই। তবে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন গবেষক বজ্রপাতের নানা কারণ তুলে ধরেন। কোনো কোনো গবেষক বলেন, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লে বজ্রপাতের আশঙ্কা ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। বজ্র্রপাতে মৃত্যু হার বাড়ার সঙ্গে জলাবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক আছে কি-না তা প্রমাণিত নয়। গত কয়েক বছরে বজ্রপাত বাড়েনি কিন্তু মৃত্যু হার বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তালগাছ বজ্রপাত ঠেকাতে পারে এটা জোর দিয়ে বলা দুষ্কর। বরং বজ্রপাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা উত্তম।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলে থাকেন, বজ্রপাতে মৃত্যু কমানো একটি বড় উপায় বড় কোনো গাছ। মাঠে কোনো বড় গাছ থাকলে, বজ্রপাত মানুষের শরীরে না পড়ে সেটা বড় গাছেই পড়ে বলে বিভিন্ন গবেষণায় ওঠে এসেছে। আর বাংলাদেশে দিনদিন গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে মাঠে কর্মরত কৃষক বা শ্রমিক শ্রেণি বজ্রপাতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকাভুক্ত করার পর সারা দেশে ব্যাপক হারে তালগাছ লাগানোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণ করেছে। এ বিষয়ে আবাহওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, বজ্রপাতের অন্যতম কারণ হচ্ছে তাপপ্রবাহ ও পশ্চিমা লঘুচাপের মিশ্রণ। অর্থাৎ দক্ষিণের গরম বাতাস আর পশ্চিমা লঘুচাপের মিশ্রণের কারণে প্রচুর বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়। মেঘের মধ্যে থাকা ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জের গঠন ও পরিবহনের ফলে বজ্রপাত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত তিন ধরনের। এক ধরনের বজ্রপাত এক মেঘ থেকে আরেক মেঘে হয়। অন্য ধরনের বজ্রপাত এক মেঘের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে হয়। আর অন্যটি হয় মেঘ থেকে ভূমিতে, আর এটি যত ক্ষতির কারণ। বজ্রপাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে বজ্রপাত যাতে এড়িয়ে চলা যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন মৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে খোলা মাঠে কিংবা ভবনের ছাদে বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে বজ্রপাত সম্পর্কিত গবেষণা বলছে, বিশ্বের সর্বত্র বজ্রপাত সমহারে বাড়ছে না। পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে ৮০ লাখ বজ্রপাত সৃষ্টি হয়। উন্নত দেশগুলোতেও একসময় বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যু হতো। কিন্তু তারা বজ্রনিরোধক খুঁটি বা পোল স্থাপন করা, মানুষকে সচেতন করার মধ্য দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে বৈজ্ঞানিক তথ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাভিত্তিক সচেতনতা সৃষ্টি করেছে উন্নত দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোসহ পূর্ব এশিয়ায় বজ্রপাতে হতাহতের সংখ্যা বহুলাংশে কমেছে। কিন্তু আমরা কি শুধু তালগাছের ওপর নির্ভরশীল থাকব বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।