Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দণ্ডিত মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রী!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর নাতনির মেয়ে আশিস লতা রামগোবিনের। সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ভারত থেকে তিনটি কন্টেইনারের আমদানি শুল্কের জন্য গান্ধীর নাতনির মেয়ে আশিস লতা রামগোবিনকে ৬.২ মিলিয়ন র‌্যান্ড (দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রা) দিয়েছিলেন এসআর মহারাজ নামে এক ব্যবসায়ী। কিন্তু আদতে সেই বরাতের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। ওই ব্যবসায়ীকে মুনাফার ভাগ দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন লতা।
২০১৫ সালে যখন মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল, তখন ন্যাশনাল প্রসিকিউটিং এজেন্সির ব্রিগেডিয়ার হ্যাঙ্গওয়ানি মুলাউডজি জানিয়েছিলেন, ভুয়া ইনভয়েস এবং নথি দিয়ে লতা বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ভারত থেকে রেশনের তিনটি কন্টেইনার আসছে। সেই শুনানির সময় অবশ্য ৫০ হাজার র‌্যান্ডের ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
এরপর গত সোমবারের শুনানিতে আদালতকে জানানো হয়, ২০১৫ সালের আগস্টে নিউ আফ্রিকা অ্যালায়েন্স ফুটওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের কর্মকর্তা মহারাজের সঙ্গে আলাপ হয় লতার। তিনি মহারাজকে জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার হাসপাতাল গ্রুপ নেটকেয়ারের জন্য রেশনের তিনটি কন্টেইনার এনেছেন।
কিন্তু আর্থিক সমস্যার দরুণ আমদানি শুল্ক দিতে পারছেন না। বন্দর থেকে কন্টেইনার নিতে তার অর্থের প্রয়োজন। ন্যাশনাল প্রসিকিউটিং এজেন্সির মুখপাত্র নাতাশা কারা জানান, পারিবারিক পরিচিতি এবং নেটকেয়ারের নথির ভিত্তিতে ঋণের জন্য লতার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মহারাজ। কিন্তু পরে মহারাজ জানতে পারেন, লতার যাবতীয় নথি জাল এবং নেটকেয়ারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরই আইনি পথে হাঁটেন মহারাজ। সূত্র : রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড, আউটলুক ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ