Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজননে মিলেছে সফলতা

সান্তাহার মৎস্য প্লাবণভূমি উপকেন্দ্র

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

বগুড়ার সান্তাহার মৎস্য গবেষণা প্লাবণভূমি উপকেন্দ্র হলেও গবেষণার দিক দিয়ে দেশের অন্যান্য প্লাবণভূমির ন্যায় সফলতার দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এ প্লাবণভূমি। এবার দেশের বিলুপ্তপ্রায় ছোট মাছ বাতাসি’র কৃত্রিম প্রজননে‘ এখানকার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেভিট রেন্টু দাসসহ অন্য বিজ্ঞানীরা চমকপ্রদ সফলতা পেয়েছেন। বিলুপ্তপ্রায় বাতাসি মাছের কৃত্রিম প্রজননে দেশে এটাই প্রথম সফলতা বলে মনে করছেন এই প্লাবণভূমি উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তারা। জানা যায়, দেশে বিলুপ্ত ৬৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় ছোট মাছের কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষণা কাজ চলছে। এর আগেও এই প্লাবণভূমিতে গবেষণা করে বিলুপ্তপ্রায় ভেদা (নুনিয়া) মাছের কৃত্রিম প্রজননও পোনা উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি কুঁচিয়া মাছের খাদ্যভাস বিশ্লেষণ, নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে প্রজনন পোনা ও চাষ ব্যবস্থাপনা এবং গ্রীন হাউজ কনসেপ্টের মাধ্যমে থাই পাঙ্গাস মাছের আগাম পরিপক্ক ব্রুড উন্নয়ন, রেনু পোনা উৎপাদন করা হয়।

সান্তাহার প্লাবণভ‚মি উপকেন্দ্রের প্রধান গবেষক ড. ডেভিট রিন্টু দাস বলেন, এক বছর ধরে বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছের কৃত্রিম প্রজনন করা নিয়ে কাজ করে আসছি। বাতাসি’র কৃত্রিম প্রজননের এই সফলতা বিলুপ্তপ্রায় বাতাসি মাছ চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ের চাষিদের মধ্যে বিপুল চাহিদা দেখা দেবে এবং অবিলম্বে বাজারে এ মাছের প্রাপ্যতা সহজ হবে এবং চাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি জানান, ৬ বছর পূর্বের তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশের স্বাদু পানির আড়াই শতাথিক ছোট প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৪টি বিলুপ্তপ্রায়। এর মধ্যে ৩০টি বিপন্ন, ৯ টি অতি বিপন্ন এবং ২৫ প্রজাতি বিপন্নের পথে। এই গবেষক বলেন, বিলুপ্তপ্রায় ছোট মাছ ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক গবেষণা কাজ চলছে। বর্তমানে কাজলী, কাকিলা, গাঙ টেংরা, রানী ও পিয়ালীসহ ১৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় ছোট মাছ নিয়ে গবেষণা কাজ চলছে।
কৃত্রিম প্রজননে সফল হওয়া বিলুপ্তপ্রায় বাতাসি মাছ বিষয়ে এই গবেষক বলেন, এই মাছটি প্রচুর পুষ্টি সমৃদ্ধ। খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম বাতাসি মাছে আছে পটাসিয়াম ৬১০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪০০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ২০০ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩৩ মিলিগ্রাম এবং জিংক সাড়ে ১৪ মিলিগ্রাম। জিংক মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। একারণে তিনি করোনা কালে বেশী করে বাতাসি মাছ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। এছারাও এর আগে এই প্লাবণভূমি উপকেন্দ্রে গবেষণা করে বিলুপ্তপ্রায় ভেদা (নুনিয়া) মাছের কৃত্রিম প্রজননও পোনা উৎপাদন করা হয়্য।



 

Show all comments
  • মেহেদী হাসান সুমন ৮ জুন, ২০২১, ৩:২২ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো খবর। বিলুপ্ত প্রায় মাছ আবারও প্রজননে ফিরবে।
    Total Reply(0) Reply
  • রেজাউল করিম ৮ জুন, ২০২১, ৩:২৩ এএম says : 0
    সফলতা মিলেছে, তার মানে আবারও মাছটি চাষ হওয়া আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • আকাশ ৮ জুন, ২০২১, ১০:২৪ এএম says : 0
    অবিলম্বে বাজারে এ মাছের প্রাপ্যতা সহজ হবে এবং চাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে আশা করছি
    Total Reply(0) Reply
  • রফিক ৮ জুন, ২০২১, ১০:২৪ এএম says : 0
    বাতাসি’র কৃত্রিম প্রজননের এই সফলতা বিলুপ্তপ্রায় বাতাসি মাছ চাষের জন্য মাঠ পর্যায়ের চাষিদের মধ্যে বিপুল চাহিদা দেখা দেবে
    Total Reply(0) Reply
  • মাহমুদ ৮ জুন, ২০২১, ১০:২৫ এএম says : 0
    অনেক নেতিবাচক খবরের মধ্যে এই ধরনের খবরগুলো খুব ভালো লাগে
    Total Reply(0) Reply
  • গোলাম কাদের ৮ জুন, ২০২১, ১০:২৮ এএম says : 0
    গবেষকদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৎস্য প্লাবণভূমি উপকেন্দ্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ