প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন ডেস্ক : নিখোঁজ নন, স্বেচ্ছায় প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলের বাসায় গত মাস খানেক ধরে ছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা, নির্মাতা ফখরুল হাসান বৈরাগী। গত সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে এসে সাক্ষাতের পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি স্বজ্ঞানে ছেলের বাসায় অবস্থান নিয়েছিলেন। রাজিয়া হাসান তার স্ত্রী নন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, তার সঙ্গে লিভ টুগেদারের সম্পর্ক। তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় আমি ৭ আগস্ট প্রথম স্ত্রীর ছেলের বাসায় গিয়ে উঠি। সে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে আমার নিখোঁজের গুজব ছড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কলাবাগান থানায় নিজে এসে হাজির হয়েছি। ফখরুল হাসান বৈরাগী বলেন, গত ৭ আগস্ট বাসার দারোয়ানকে বাসার চাবি দিয়ে এক কাপড়ে বেড়িয়ে যাই। উঠি কেরানীগঞ্জের আঁটি বাজারে প্রথম স্ত্রীর ছেলের বাসায়। তিনি বলেন, আমার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাজিয়া হাসানের সাথে থাকতাম। দীর্ঘদিন অতিবাহিত সময়ে সম্প্রতি বনিবনা হচ্ছিল না। সে কারণে অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে যাই। বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত, সম্মানহানি হতে পারে ভেবেই আমি বিয়ষটি কাউকে জানাইনি। কারো সাথে যোগাযোগও করিনি। কেরানীগঞ্জে দুই ছেলে রাশেদুল হাসান ও রকিবুল হাসান এক সাথে থাকে। ওদের বাসায় গিয়ে উঠি। বৈরাগীর এক পালিত কন্যাও রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছিল আমি নাকি নিখোঁজ। আসলে আমি নিখোঁজ না। কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। কিংবা আমি পালিয়ে থাকিনি। স্বজ্ঞানে ছেলের বাসায় গিয়ে উঠেছি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকায় গিয়ে ছেলের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জে যান তিনি। এব্যাপারে তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, ফখরুল হাসান বৈরাগী আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি নিখোঁজ ছিলেন না। স্বজ্ঞানে ছেলের বাসায় অবস্থান নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি সাহায্য চাইলে আইনগত সহায়তা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।