পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উপমহাদেশের মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মহানায়ক, নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও ভূমিদাতা নবাব খাজা স্যার সলিমুল্লাহর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৮৭১ সালের ৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি মারা যান। নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ মাত্র ৪৪ বছর জীবনে ১৪ বছর তিনি ঢাকার নবাব ছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন ভারত উপমহাদেশের উন্নয়নের মানচিত্রে পূর্ববাংলা পিছিয়ে আছে। তিনি তৎকালীন কোলকাতাকেন্দ্রিক জমিদার, মহাজন ও বুদ্ধিজীবীদের তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করে ব্রিটিশদের সহায়তায় আসাম ও পূববাংলা সমন্বয়ে “ পূর্ববাংলা ও আসাম” নামে একটি নতুন প্রদেশ গড়েন। ভৌগোলিক মানচিত্রের এই পরিবর্তনে ভারতবর্ষে উচ্চ বর্ণের হিন্দু জমিদারদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হলে রাজনৈতিক মেধাসম্পন্ন এই নেতা বঙ্গবিভাগের সমর্থনে এদেশের নিপীড়িত, লাঞ্চিত মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সংঘবদ্ধ করেন। তারই প্রচেষ্টায় ১৯০৬ সনে ৩০ এ ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগে নবাবদের বাগানবাড়িতে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
নবাব সলিমুল্লাহ নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ ভূমি দান করেন। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর জমিদার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর প্রচেষ্টা ও আর্থিক সাহায্যে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে তিনি পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রশাসনিক দপ্তর স্থাপনের জন্য তার দিলকুশা গার্ডেনের দক্ষিণাংশে ২৩.৫ হেক্টর জমির ওপর “ গভর্নমেন্ট হাউজ স্থাপনের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা কালক্রমে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তান গভর্নরের প্রশাসনিক ভবন ও পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ভবন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আজ বঙ্গভবন” এ পরিচিতি লাভ করেছে।
চরম পরিতাপের বিষয়, নবাব প্রতিষ্ঠিত মুসলিম লীগ সহ বিগত ৭৩ বছরে বহু সরকার এসেছে কিন্তু নবাব সলিমুল্লাহকে যথাযথ মূল্যায়ন কেউ করেনি। নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী গতকাল রোববার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা করে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল। অনুষ্ঠানে নেতারা বলেন, মরহুম নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র অগণিত জনহিতকর কাজের সুফল মানুষ আজও ভোগ করছে।
বিএমএলের নির্বাহী সভাপতি এবিএম ফাখরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-দলীয় মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডিএলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বিএমএলের কেন্দ্রীয় নেতা সরওয়ার-ই-আলম খান, ডা. আব্দুল গাফ্ফার, এমএ মোমিন, ব্যারিস্টার নাসিম খান, সৈয়দা রিফাত আক্তার, মোশারফ হোসেন তারা, সৈয়দ মিনহাজ উদ্দিন, মো. জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।