রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমূরুয়া চৌরাস্তা-বক্সগঞ্জ বাজার (নাঙ্গলকোট) সড়কের সারওয়াতলী সেতুটির পাটাতন ও রেলিং ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এলজিইডির আওতায় সেনবাগ উপজেলার সাথে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলাবাসীর যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় জনসাধারণকে অনেক কষ্ট ভোগ করে হালকা ও ছোট যানবাহনে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
জানা যায়, ফেনী-সোনাইমুড়ী-সেনবাগ (সওজ) সড়কের সেনবাগের ডমূরুয়া চৌরাস্তা থেকে নাঙ্গলকোটের বক্সগঞ্জ পর্যন্ত এলজিইডির (সেনবাগ) ২৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩.৭ মিটার প্রস্থ এ সড়কটি অতি সম্প্রতি ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হয়। তবে, মাঝপথে অবস্থিত সেতুটি ভেঙে যায়। সেনবাগের মানুষের বক্সগঞ্জ বাজার হয়ে গুনবতি ও হাসানপুর রেলস্টেশন, নাঙ্গলকোট এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ও পদুয়া রাস্তার মাথায় যাতায়াতের একমাত্র সহজ পথ এটি। বর্তমানে সেতুটির ওপর দিয়ে হালকা ও ছোট যানবাহন চলাচল করলেও ভারী কোনো যান চলাচল করতে পারছে না। ফলে, ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে অধিক টাকা ও সময় ব্যয় করে অন্যপথে মালামাল পরিবহন করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ৩নং ডমূরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০২০ সলের নভেম্বরের দিকে সেতুটির পাটাতনে ভাঙন দেখা দিলে প্রথমে মৌখিক ও পরে জানুয়ারিতে লিখিতভাবে ইউএনওকে অবহিত করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদে সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের ব্যবস্থা নিবেন বলে আস্বস্ত করেন। সেতুটিতে ভাঙন দেখা দেয়ার ৭ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। তিনি আরো জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী কিগত পাঁচ দশকে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি বেশ কয়েকবার পুনর্নির্মাণ করতে তিনি দেখেছেন। প্রতিবারই সেতুর নকশায় ত্রুটি ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল।
সরেজমিনে জানা যায়, ইতোমধ্যে সেতুটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাটাতন ও রেলিং ভেঙে গেছে। এ ব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিনুর আলম জানান, বিশ্ব ব্যাংকের চলমান সেফটিং ফর রুরাল ব্রিজ কর্মসূচির আওতায় সেতুটি আপাতত মেরামত করে হালকা-মাঝারি যান ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ টিম মাস কয়েক মাস আগে পুনরায় ওই সেতুটি পরিদর্শন করায় প্রকল্পটি বাস্থবায়নে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। পরবর্তিতে সেতুটি যথাযথভাবে পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।