Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলচ্চিত্রে অরুনা বিশ্বাসের ৩৫ বছর

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২১, ১২:০৭ এএম

অভিনেত্রী-নির্মাতা অরুনা বিশ্বাস তার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে ৩৫ বছর পূর্ণ করেছেন। ১৯৮৬ সালে নায়করাজ রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৬ সালের ৬ জুন সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক বাপ্পারাজ। প্রথম সিনেমাতেই অরুনা বিশ্বাস এটিএম এম শামসুজ্জামান, শাবানা’র মতো অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান। প্রথম সিনেমা দিয়েই অরুনা বিশ্বাস দর্শকের মন জয় করেছিলেন। এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে অভিনয় করেন, ‘দুর্নাম’, ‘সম্মান’, ‘কৈফিয়ত’, ‘দংশন’, ‘চরম আঘাত’, ‘বন্ধু বেঈমান’,‘সাদী মোবারক’, ‘আবদার’, ‘প্রেম শক্তি’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘মাটির কসম’, ‘জনম দু:খী’, ‘সতীনের সংসার’, ‘মিস্টার মাওলা’, ‘ত্যাগ’, ‘মায়ের দোয়া’,‘ হিংসার আগুন’, ‘অবুঝ সন্তান’সহ আরো অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমায়। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি অরুনা বিশ্বাস নাটক প্রযোজনা ও নির্মাণে জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ঠিকানা বত্রিশ’ খন্ড চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যা বেশ প্রশংসিত হয়েছে। চলচ্চিত্র জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলা প্রসঙ্গে অরুনা বিশ্বাস বলেন, ‘অবশ্যই চলচ্চিত্র জীবনের পথচলার কথা বলতে গেলে আমাদের চলচ্চিত্রের নায়করাজ রাজ্জাক কাকুর কথা বলতে হবে। তিনিই আমার বাবাকে বলে তার সিনেমায় কাজ করিয়েছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে এমন একজন মানুষের নির্দেশনায় সিনেমাতে আমার অভিষেক হয়েছিলো। আমি নায়করাজ পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। এরপর যদি সিনেমাটোগ্রাফার মাহফুজ ভাই আমার পাশে না দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো আমি হারিয়েই যেতাম। কারণ, সেই সময় দিতি ও চম্পা’র পাশাপাশি আমাকেও অভিনয় করে টিকে থাকতে হয়েছে। আমার পরিবারের প্রতি, আমার বাবা-মা’র প্রতি, আমার ভক্ত দর্শক, সাংবাদিক, নির্মাতা, প্রযোজক, সহশিল্পীদের প্রতি আন্তরিকভাবে আমি কৃতজ্ঞ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তি হয়নি আমার। তাতে কোন দু:খবোধ নেই আমার। দর্শক আমাকে কী পরিমাণ ভালোবাসে তা আমি প্রতিমুহুর্তে অনুভব করি। সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা।’ অরুনা বিশ্বাস জানান, সরকারী অনুদানের জন্য তিনি ‘অসম্ভব’ নামের একটি গল্প জমা দিয়েছেন, যার কাহিনী সংলাপ লিখেছেন তার ভাই মিঠু ও মুজতবা সউদ। অনুদান পেলে দীর্ঘ এক যুগের স্বপ্ন পূরণ হবে তার এবং মনের মতো একটি গল্প নির্মাণের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হবে তার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অরুনা বিশ্বাস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ