Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনা ইউনিভার্সিটি নির্মাণের বিরুদ্ধে হাঙ্গেরিতে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২১, ৫:৪২ পিএম

হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে চীনা একটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস খোলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাঙ্গেরির হাজার হাজার মানুষ। তারা এমন সিদ্ধান্তকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। শনিবারের এ বিক্ষোভ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীন সরকারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান- এ অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তাদের আশঙ্কা বুদাপেস্টে চীনা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খোলা হলে তাতে উচ্চশিক্ষার মান কমে যাবে। একই সঙ্গে হাঙ্গেরি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে প্রভাব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বেইজিংয়ের জন্য।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, চীনা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হলে হাঙ্গেরির নিজস্ব উচ্চশিক্ষা হারিয়ে যাবে এবং তা চীনের কমিউনিস্ট কর্তৃপক্ষের প্রভাব বাড়িয়ে তুলবে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, সরকারের উচিত চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের অর্থ আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য ব্যবহার করা।
বুদাপেস্টে ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রায় ১৮০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছে, যা ওর্বান সরকারের ২০১৯ সালে পুরো উচ্চ-শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যয় করা অর্থের চেয়েও বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য চীনা ব্যাংক থেকে ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে।
লিবারেল থিংক ট্যাঙ্ক রিপাবলিক ইনস্টিটিউটের মতে, দুই-তৃতীয়াংশ হাঙ্গেরীয় চীনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সমর্থন করে না।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে সাংহাইভিত্তিক ফুদান ইউনিভার্সিটির সঙ্গে হাঙ্গেরি সরকার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তিতে বুদাপেস্টে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। তবে হাঙ্গেরি সরকার বলেছে, ফুদান ইউনিভার্সিটি একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের ক্যাম্পাস বুদাপেস্টে স্থাপিত হলে শিক্ষার্থীরা উৎকৃষ্ট শিক্ষা পাবেন।
এদিকে শনিবারের বিক্ষোভের আয়োজকরা বলেছেন, সরকার হাঙ্গেরির শিক্ষার্থীদের আবাসন ও তাদের ভবিষ্যতকে বিক্রি করে দিচ্ছে, যাতে চীনের স্বৈরাচার হাঙ্গোরিতে পা রাখতে পারে। এ পরিকল্পনার প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন বুদাপেস্টের মেয়র জারগেলি কারাকসোনি। তিনি প্রতিবাদ হিসেবে বুধবার ঘোষণা করেছেন যে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস যেখানে নির্মিত হবে তার পাশের সড়কগুলোর নতুন নামকরণ করা হবে। এর মধ্যে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই লামার নামে। আরেকটি সড়কের নামকরণ করা হবে মুসলিম সম্প্রদায় উইঘুরদের নামে। এর নাম দেয়া হবে ‘উইঘুর মারর্টিরস রোড’। অন্য দুটি সড়কের নামকরণ করা হবে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি প্রতিবাদকারী এবং চীনে জেল দেয়া একজন ক্যাথলিক বিশপের নামে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ