পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা প্রতারক চক্রের নারী সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে নির্দেশনা থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা করে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
গতকাল পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, এক ভুক্তভোগী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে জানিয়েছে, তাকে একটি প্রতারক চক্র প্রেমের ফাঁদে ফেলে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইটি সেকশনে কাজ করেন। প্রথমে অনলাইনে ভুক্তভোগীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে প্রতারক চক্রের এক নারী। প্রেম ও দৈহিক সম্পর্কের লোভ দেখিয়ে তাকে ডাকা হয় ধামরাইয়ের একটি বাড়িতে। সেই নারীর সঙ্গে সময় কাটাতে তিনি সেখানে যাওয়া মাত্রই তাকে আটকে ফেলা হয়।
একই চক্রের কয়েকজন পুরুষ জোরপূর্বক তার কিছু স্পর্শকাতর ছবি তুলে ও ভিডিও করে রাখে। তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে লোকটির পরিবারের কাছে ছবি ও ভিডিওগুলো পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মানসম্মানের ভয়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই প্রতারক চক্রকে তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দিতে হয়।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেওয়ার পরও নানাভাবে তাকে হয়রানি করছিল চক্রটি। ভুক্তভোগী বিষয়টি তার পরিবার ও নিকটজনদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিল। পরে মানসিক যন্ত্রণা ও পীড়নের কারণ সে উপায় খুঁজছিল এই চক্রটিকে কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়। এরইমধ্যে পত্রিকায় কোনো একটি সংবাদে সে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং সম্পর্কে জানতে পারে। তাই সে মিডিয়া উইংকে বার্তা পাঠিয়ে তাদের সহযোগিতা চায়।
সোহেল রানা বলেন, বার্তা পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং আশুলিয়া থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামানকে এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব তথ্য সরবরাহ করে প্রতারক চক্রটিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে নির্দেশনা দেয়। একইসঙ্গে এবং ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহীল কাফীকে সার্বিক কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) আব্দুর রাশিদ এবং সাব-ইন্সপেক্টর মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে মাঠে নামে। প্রযুক্তির সহায়তা এবং অনুসন্ধানী নানা কৌশল ব্যবহার করে এই চক্রের এক নারীসহ মোট চার জনকে গত শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। চক্রের অপর এক সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।