বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মধ্যরাতে বগুড়ার শেরপুরে হানা দিয়ে জুয়ার আসর গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেখানকার পুলিশ। সেই সঙ্গে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের পর গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে আলম সেখ (৩০), একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে আসমত আলী (৩১), আব্দুল আজিজের ছেলে রেজাউল করিম (২৫), শামছুল হকের ছেলে লাভলু মিয়া (৪৫), আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে জুয়েল রানা (২৭), শাহ আলী প্রামাণিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩২) ও ইব্রাহীম খানের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৮)। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলম সেখের বসতবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেই সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলা ওই জুয়ার আসর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে শনিবার দুপুরের পর বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামস্থ আলম সেখের বসতবাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে জমজমাট জুয়া খেলা চলছিলো। নিয়মিত চলা এই জুয়ার আসরে এই উপজেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন এসে জুয়া খেলতেন। আর জুয়াড়িদের নিরাপত্তাসহ সব ধরণের সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বাড়ির মালিক আলম সেখ প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ হাজার করে টাকা নিতেন। এসব টাকায় সব মহলকে ম্যানেজ করা হয়ে থাকে বলে প্রচার করতেন তিনি। তাই জুয়াড়ি আলম সেখ ও তার লোকজনের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছিল না। ফলে এই আসরে জুয়াড়িদের উপস্থিতি দিন দিন বাড়তেই থাকে। আর এই কারণে বনমরিচা গ্রামে সামাজিক অবক্ষয় ও শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী পুলিশে অভিযোগ দেন। যার ফলশ্রুতিতেই পুলিশ ওই জুয়ার আসরটি হানা দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।