Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

২০০ বসতভিটা দুই সপ্তাহে বিলীন

তিস্তার ভাঙন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশিম বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে দুই শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি। গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ আর ভারত থেকে আসা পানির ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ও বালির বস্তা ফেলা হলেও তা কোন কাজে আসছে না। ভাঙন হুমকির মুখে রয়েছে হাজারও বসতবাড়ি। শঙ্কায় রয়েছে নদী তীরবর্তী বসবাসরত পরিবারগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারা গোছের পদক্ষেপ থামাতে পারছে না তিস্তার ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে চলতি মৌসুমের নানা প্রকার ফসলসহ আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। লাগাতার ভাঙনে নাকাল হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। ভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাজারও একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজারসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী প্রতি বছর তার গতিপথ পরিবর্তন করার কারণে একাধিক শাখা প্রশাখার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব শাখা-প্রশাখাগুলোতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এ কারণে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারোহ ও বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে বাদাম, পাট, বেগুন, মরিচসহ নানাবিধ শাক-সবজির উঠতি ফসলের সমাহার দেখা দিয়েছে। কিন্তু সর্বনাশা তিস্তার পেটে যাচ্ছে সে ফসল।
কাশিম বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলাম রঞ্জু মিয়া বলেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে কাশিম বাজার গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। যে হারে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে, তাতে করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী নাজিমাবাদ বিএল উচ্চ বিদ্যালয় রক্ষা করা যাবে না। তিনি বিদ্যালয়টি রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত জোরালো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ভাঙন কবলিত পরিবাগুলোর আশ্রয় নেয়ার মত জায়গা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কয়েক স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিস্তা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ