বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর বর্জ্য ও রক্তের দুর্গন্ধে চাঁদপুর পৌরবাসী মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পশু জবাইর ক্ষেত্রে পৌর কর্তৃপক্ষ স্থান নির্ধারণ করে দিলেও অনেকেই তা উপেক্ষা করে পশু জবাই করে যত্র-তত্র এসব বর্জ্য ও রক্ত ফেলেছেন।
এতে করে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে। ওইসব পশু জবাই করা হয়েছে গত মঙ্গল ও বুধবার। ফলে পৌর এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বাসিন্দাদের অনেকেই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
চাঁদপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগেই পৌর কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে ছিল যে, যেখানে-সেখানে কোরবানির পশু জবাই করে বর্জ ও রক্ত ফেলা যাবে না। একই সাথে পশু কোরবানির জন্য পনেরটি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল।
এ সব নির্দেশনার পরও পৌরবাসীদের অধিকাশংই তাদের ইচ্ছামতো অলি-গলি, রাস্তা-ঘাট, পাড়া-মহল্লা, বিভিন্ন বহুতল ভবনের সামনে, সড়কের পাশে ও রেল-লাইনের পাশে নিয়ম-নীতি না মেনে এ বছর কোরবানির পশু জবাই করে বর্জ্য ও রক্ত ফেলে রাখে। এসব পশুর বর্জ্য ও রক্ত যত্রতত্র ফেলার কারণে পচা দুর্গন্ধে অধিকাংশ পৌরবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এসব বর্জ্য নালা-ডোবা ও পৌরসভার ড্রেনে আটকে থাকা, রাস্তার পাশে পরে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শহরের রেলওয়ে এলাকার মাদ্রাসা রোড, কবরস্থান রোড, যমুনা রোড, রেলওয়ে ক্লাব রোড, ৩নং কয়লা ঘাট, ৫নং ঘাট, গুয়াখোলা, পালবাজার, বকুলতলা রোড, উত্তর শ্রীরামদী জামতলা, কুমিল্লা রোড, মেথা রোড, পালপাড়া, আদালত পাড়া, নিশিরোড, কোড়ালিয়া, মমিনপাড়া, প্রফেসর পাড়া, পীর বাদশা মিয়া রোড, স্টেডিয়াম রোড়, মোল্লাবাড়ি রোডসহ শহরে উল্লেখযোগ্য অনেক স্থানে এসব বর্জ্য ও রক্ত পড়ে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ না করলে বিভিন্ন রোগ-বালাই তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পৌর এলাকার যেখানে সেখানে কোরবানি পশু জবাই করা নিষেধ করা হয়েছিলা। তারপরও যারা পরিবেশ দূষণ করেছে তাদের ব্যাপারে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরো জানান, ‘পৌর এলাকার যেসব স্থানে এখনো বর্জ্য ও রক্ত পড়ে থেকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। পৌরবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষায় বর্জ্য ও রক্ত অপসারণ অথবা মাটি চাপা দেয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।