গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল ১১.৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ছাত্রদলের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
হামলায় আহত হয়েছেন- কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, জহির উদ্দিন আহমেদ, আবু জাফর, শাহজাহান শাওন, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, মিয়া মোঃ রাসেল, যুগ্ম-আহ্বায়ক, আরিফুল ইসলাম, ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য মোঃ তরিকুল ইসলাম তারিক,
রিয়াজ আনোয়ার হোসেন, ফারহান আরিফ, রাজু আহম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান খান,
মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান।
ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে টিএসসি ও টিএসসি সংলগ্ন এলাকায় অসহায়দের মাঝে খাবার ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে আমরা টিএসসিতে দাঁড়ালে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুলের নেতৃত্বে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এদিকে হামলার পর ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ। শোডাউনের ছবি শেয়ার করে অন্যতম হামলাকারী মিজানুর রহমান পিকুল ফেসবুকে লিখেন 'যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি'।
এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের উপরও হামলা চালায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও ক্ষিপ্ত হয় ছাত্রলীগের এই নেতা।
হামলায় অংশ নেওয়া এসএম হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খান মিলন হোসাইন নীরব বলেন, জিয়াউর রহমান একজন খুনি, তার কর্মসূচি পালন করতে আসছিল ছাত্রদল। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীদের সাথে মনে হয় একটু ঝামেলা হয়েছিল তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়েছিল। পরে একটু হাতাহাতি হয়। ওখানে বেশিরভাগই উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মী ছিল ওরা হয়ত বুঝে উঠতে পারেনি।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি কমিটি গঠন, কর্মসূচি পালন বিশেষ করে সামরিক শাসক, অবৈধ ক্ষমতা দখলদারি মেজর জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্রে করে তারা রীতিমতো একটা সন্ত্রাসী প্রদর্শনী শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, উপদলীয় কোন্দল বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ হিসেবে আজকে তারা নিজেদের মধ্যে ঘটনাটা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের উপর একটি আঘাত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিব ইসলাম রাকিব বলেন, জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষির্কী উপলক্ষ্যে টিএসসিতে শিক্ষা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি ছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে অবস্থান করলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুলের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ২০ জন আহত, ৬ জন ঢাকা মেডিক্যালের ইমারজেন্সিতে ভর্তি রয়েছে। আমাদের খাদ্য ও শিক্ষা সামগ্রীগুলোরও হাদিস নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরণের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ। পূর্ব অনুমিত ব্যতিত তাদের ( ছাত্রদল) এ ধরণের অপকর্ম এবং স্বেচ্ছাচারী কাজের দায় বিশ্ববিদ্যালয় নিবে না। তাদেরই নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।